মোহনা কি সত্যিই অন্তঃসত্ত্বা? নাকি এটা তাঁর চাল! আদি-শুভর মধ্যে ভাঙন ধরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে মোহনা! আগামী দিনে কি হতে চলেছে গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে?

দিনে দিনে রায় পরিবারে প্রায় প্রতিটা সদস্যদের মধ্যেই ঝামেলা সৃষ্টি হচ্ছে। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের এপিসোডে দেখা যাবে, মন্দিরে শুভদের সঙ্গে দেখা হয়েছে মোহনার। এমন সময়, মোহনা ইচ্ছা করেই শুভর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে চায়। মোহনা বলে, একদিন সে শুভকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, আগামীতে এমন দিন আসতে চলেছে সেই চ্যালেঞ্জে হাঁটতে চলেছে শুভ।

এদিকে, শুভ বলে সে কোনোদিনও কাউকে চ্যালেঞ্জ করেনি। আর, শুভ আদির স্ত্রী, এটাই তাঁর জোর। তবে, এমন সময় শুভ বলে, মোহনা তাঁর আদির প্রাণ বাঁচিয়েছিল বলে এতদিন ধরে মোহনার অনেক কিছুই মুখ বুজে সহ্য করেছে। কিন্তু, আর কোনো অন্যায় সহ্য করবে না। এই শুনে মোহনাও বলে সে যেনো অন্যায়কে শাস্তি দেয়।

এদিকে, মোহনা-শুভ কথা বলছে বলে আদি চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছে। আদি ভাবছে, এতদিন ধরে যে সত্যিটা সে চেপে রেখেছিল সেটা কি মোহনা শুভকে বলে দিয়েছে? তবে, কি শুভ তাঁকে ভুল বুঝবে? এমন সময় সুনন্দা আদিকে বলে, এখন মনে হচ্ছে সেদিন তোমায় মোহনা কেন যে আমাদের বাড়িতে এনেছিল আর কেনই বা আমরা তোমাকে পরিবারের মতন আপন করে নিয়েছিলাম? এমনটা না ঘটলে আজকের এই দিনটা দেখতে হত না।

এরপর, আদি অসুস্থ বোধ করছে বলে শুভ তাড়াতাড়ি তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার তোড়জোড় করে। এদিকে, বাড়িতে দিনে দিনে ঋদ্ধি-ডোনার মধ্যে অশান্তি বেড়েই চলেছে। ডোনা যেভাবেই হোক নিজে থেকে মা হতে চায়। এই সময়তেই ঋদ্ধি ভালো করে ডোনাকে বোঝাতে গেলে সে বোঝে না, উল্টে শুভ-আদির উদাহরণ টেনে কথা বলতে থাকে। এই শুনে, ঋদ্ধি বলে শুভরা একে অপরের পার্ফেক্ট না হলেও বিপদের সময় কেউ কাউকে ছেড়ে যায় না, বরং সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে। শুভ আদির নামে ভালো কথা শুনে আরই রেগে যাই ডোনা আর মনে মনে আদির কান্ডকারখানার কথা ভাবতে থাকে।

এরপর, দেখা যায় সারারাত ছেলে বাড়ি ফেরেনি বলে অস্থির পূরবী। কিন্তু, রূপক তাকে শান্ত করতে চাইলেও সে কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। এমন সময় রূপক তাকে বলে ছেলে বড় হয়েছে তাই ছেলের ভালোলাগার জিনিসটাকে সহজেই মেনে নাও নইলে পরে আফসোস করতে হবে, এই বলে চলে যায়। এমন সময় কান্নায় ভেঙে পরে পূরবী। আর, এই সময়ের সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ডোনা। ডোনা পূরবীকে বলে শুভদি আগে থেকেই সব জানত সমিতের ব্যাপারে কিন্তু তাও কেন তাকে বলেনি? আজ যদি সে(পূরবী) সব জানত তাহলে এতটা বাড়াবাড়ি কিছু হত না।

এরপর, শুভ হাতি শেষবারের মতো ভগবানের কাছে প্রার্থনা করার সময় দুজনেই ভগবানকে জানাচ্ছে মনের কথা। শুভ বলছি সে যেন পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে পারে, আগামী দিনে যে আসছে তাদের জীবনে সেও যেন সুস্থভাবে আসে এবং আদি-কেশব সবাই যেন ভালো থাকে। এদিকে আদি মনের কথা তুলে ধরছে ভগবানের সামনে, সে বলছে অবচেতনভাবে সে যা করেছে ভুল করেছে। তাঁর জীবনের বরাবর একটা লক্ষ্যই ছিল শুভকে ভাল রাখা সে যেন আগামী দিনও শুভকে ভীষণ ভালো রাখতে পারে।

আরও পড়ুনঃ “প্রতিভা নয়, শু’য়েই কাজ পেয়েছেন অনেকে। এখনো অনেক প্রযোজক-পরিচালকেরা না শু’য়ে কাজ দেন না”—টলিউডের হিং’স্র বাস্তবতা তুলে ধরে সরব ঋতাভরী!

এরপর, দেখা যায় মোহনারা বাড়িতে ফিরতেই আকাশ তাঁকে এইটা শাড়ি উপহার দেয়। দাদার থেকে হঠাৎই শাড়ি উপহার পেয়ে কিছুটা অবাক হয়ে যায় মোহনা আর মনে মনে ভাবে ঠিক কোন কারণে দাদা তাকে শাড়ি দিচ্ছে? এদিকে, সুনন্দা আকাশকে বলে ছোটবেলা থেকেই আকাশ কোন কিছুতেই মোহনাকে বাধা না শুনতে ভুলে গেছে।