গল্পের গরু কখন সিরিয়ালে গাছ থেকে মহাকাশে উঠে যাবে আপনি ধরতেও পারবেন না। অনেক সময় সিরিয়ালে কল্পনার আশ্রয় নিতে হয় ঠিকই কিন্তু সেই কল্পনা যখন বাস্তবকে একদম ছাড়িয়ে বেরিয়ে যায় তা বোধহয় সহ্য করা যায় না। মানুষ কিছুদিন সেই অবাস্তবতা সহ্য করে তারপরে চ্যানেল ঘুরিয়ে দেয় সোজা।
জি বাংলার সমস্ত সিরিয়ালই মোটামুটি তৈরি হয় নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে। এখানে নারীরা ক্রিকেট খেলে, গান গায়, নাচ করে, ডাক্তার হয় উকিল হয় কিন্তু সবকিছুই সংসার সামলে। যদিও এতকিছু তারা কখন করে আমরা জানিনা কিন্তু সিরিয়ালে আমরা সেটাই দেখতে পাই।
উমা সিরিয়ালটি শুরু হয়েছিল এইরকমভাবে যে একজন গ্রামের মেয়ে গয়না বড়ি বেচে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং দেশের নামী ক্রিকেটার হবে।কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় উমা যাতে ক্রিকেট খেলতে পারে সেজন্যে অভি তাকে বিয়ে করে তবে তারপরে উমার ক্রিকেট খেলার থেকে আচার্য বাড়ির সেরা বউ হওয়ার লক্ষ্যই মানুষের কাছে প্রধান লেগেছে।
সমস্ত কিছু ঝামেলা মিটিয়ে উমা আচার্য বাড়িতে নিজের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে কিন্তু সেইসঙ্গে আলিয়াকে নিজের ছোট জা হিসেবে সহ্য করতে হচ্ছে। এরমধ্যে উমা অভির দাদার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে উমার বাবার সুনন্দ দাসের মৃত্যুর জন্য দায়ী অভির দাদা।
তার এই রকম অভিযোগ শুনে সকলেই চমকে যায় কিন্তু আজকের এপিসোডে দেখা গেল অবাক করা বিষয়। বেঁচে আছে উমার বাবা সুনন্দ দাস। সুনন্দ দাসের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেতা ভাস্কর ব্যানার্জি অর্থাৎ ধূলোকণার চড়ুইয়ের বাবা। তাকে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ট্রোলিং এর রোল। সকলেই বলছেন যে টেন্ট তার গাঁ’জাখুরি গল্প শুরু করে দিয়েছে। এখন দেখা যাক ভবিষ্যতে কী হয়।