সন্ধ্যা ছটার সময় জি বাংলায় শুরু হয়েছিল উড়ন তুবড়ি। সেই সময় একদম ভালো ফলাফল করতে না পারায় পরের সময় পরিবর্তন করে রাত দশটায় করা হয়। তারপর আবার সময় বদলে রাত সাড়ে দশটায় দেওয়া হয়।
তবে গল্প প্রথমে ভীষণ একঘেয়ে হয়ে গেছিল। চপ বেচে মা বোনের পাশে দাঁড়ানো এবং পুলিশ অফিসার হওয়া এরকমটাই গল্প ছিল। তবে পরবর্তীকালে আমরা সকলেই জানতাম তুবড়ির বিয়ে অর্জুনের সঙ্গে হবে এবং শ্বশুরবাড়ি এসে সকলের মন জয় করবে তুবড়ি। যত দিন যাচ্ছিল তত অর্জুন চরিত্রটা বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছিল কারণ সে নিজে জোর করে তুবড়িকে বিয়ে করেছিল তারপর বাড়ি নিয়ে এসে আবার নিজের মায়ের জন্য তুবড়ির বিরোধিতা শুরু করেছিল। বারংবার অর্জুনের তুবড়িকে ভুল বোঝা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল দর্শক আর তার সঙ্গে নিশার কলকাঠি নাড়াটাও বিরক্তিকর লাগছিল।
তবে বর্তমানে দুর্দান্ত গল্প হচ্ছে। অনেক চেষ্টার পর তুবড়ি পুলিশ কনস্টেবল হয়েছে এবং আশা করা যায় তাকে একদিন আমরা আইপিএস অফিসার হিসেবে দেখতে পাবো। তবে আইনের কর্মী হয়ে সে কিন্তু নিজের কর্তব্য ভোলেনি।এর আগে তাকে বারংবার তার শাশুড়ি এবং পিসি শাশুড়ি মিলে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে তখন সে কিছু বলেনি। কিন্তু বর্তমানে আইনের কর্মী হয়ে সে যা করে ফেলেছে তা দেখে চমকে গেছে দর্শকরাও।
আমরা সকলেই জানি অর্জুনের মা অঞ্জলি বোস বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তার মধ্যে অন্যতম হলো ড্রা’গ পাচার করা।এবার নিজের ছেলেকে দিয়ে ড্রা’গ পাচার করার ছিল অঞ্জলি বোস যাতে পুলিশের সন্দেহ ছেলের উপর না পড়ে।কিন্তু তুবড়ি গোটা বিষয়টা বুঝতে পেরে যায় আর ট্রাক সার্চ করতেই বেরিয়ে পড়ে দু কেজি মা’দক। এত কিছুর পরেও অর্জুনের বিশ্বাস হয় না যে তার মা এর সঙ্গে যুক্ত। অর্জুনকে বিশ্ব ন্যাকা ছেলে বলে ইতিমধ্যেই তকমা দিয়েছেন নেটিজেনরা।
কিন্তু কর্তব্যে অবিচল থেকে তুবড়ি নিজের স্বামী অর্জুন এবং শাশুড়ি অঞ্জলি বোসকে গ্রেফতার করে লক আপে নিয়ে যায়। এইটাই ভালো লেগেছে সকলের।কারণ অনেকেই আশা করেছিলেন যে আবেগের বসে নিজের দায়িত্ব পালন করবে না তুবড়ি। ধারাবাহিকের গল্প সাধারণত সেরকমই হয় তবে বর্তমানে গল্প একদম অন্যরকম হয়ে গেছে আর তাতেই জনপ্রিয়তা বেড়েছে এই ধারাবাহিকের। যেভাবে নিজের স্বামী শাশুড়িকে গ্রেফতার করলো তুবড়ি তাকে তাকে বাহবা জানাচ্ছেন সকলে।