Koneenica Banerjee: “আয় তবে সহচরী”ই শেষ কাজ, ছোট পর্দায় আর দেখা যাবে না “সহচরী” কনীনিকাকে! শেষ অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত, সোজা জানিয়ে দিলেন সুপারহিট অভিনেত্রী

টলিউডের এক জনপ্রিয় মুখ হলেন কনীনিকা বন্দোপাধ্যায়। যাঁর অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা মন জয় করে নেয় সকলের। বাংলা ধারাবাহিকের অত্যন্ত পরিচিত মুখ তিনি। তার শেষ ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’ বেশ হিট করেছিল। যদিও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি মাঝপথেই ধারাবাহিক থেকে অবসর নেন। তারপরেই বন্ধ হয়ে যায় এই ধারাবাহিক। জানা যায়, কনীনিকার শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচারের পর কণ্ঠস্বরের সমস্যার জন্য তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন এই ধারাবাহিক থেকে।

তবে অল্প সময়ের জন্য এই ধারাবাহিক চললেও ধারাবাহিকের গল্প বেশ মন কেড়েছিল দর্শকদের। মধ্যবয়সী একজন মহিলার কলেজে পড়ার স্বপ্নপূরণ ও শাশুড়ি-বৌমার অসমবয়সী বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে ছিল সিরিয়াল। যা এর আগে কোনও ধারাবাহিকে দেখানো হয়নি। যদিও একটি সাক্ষাৎকারে কনীনিকা বলেছিলেন, তিনি যখন সিরিয়ালটি করবে বলে সাইন করেছিলেন তখন তার গল্প ছিল একেবারেই আলাদা। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই টিআরপি তালিকায় এগিয়ে থাকার জন্য গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এটা তিনি ভালো চোখে দেখেননি।

এরআগে ২০১৮ সালে ‘অন্দরমহল’ ধারাবাহিক ছাড়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারাবাহিক ছাড়ার কারণ কিন্তু আর্টিস্ট ফোরাম এবং প্রযোজকদের ঝামেলা নয়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণেই ‘অন্দরমহল’ ছাড়ছেন অভিনেত্রী। তিনি জানান, ‘‘আমার ‘অন্দরমহল’ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু মেগা সিরিয়াল আর করতে পারব না। মেগা করতে গেলে যে পরিশ্রমটা করতে হয়, সেটা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ডাক্তার আমাকে তিন মাস বিশ্রাম নিতে বলেছেন”।

সম্প্রতি ‘প্রজাপতি’ সিনেমাতে নায়ক দেবের দিদির চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সিনেমাটি প্রকাশ পেতেই এতো মানুষ সিনেমা দেখতে গিয়েছে, যা দেখে খুবই খুশি কনীনিকা। তিনি চান ভবিষ্যতে তিনি এরমই সিনেমা করবেন কিন্তু আর ধারাবাহিকের দিকে এগোবেন না। যদিও তিনি এও বলেন, যদি তাঁর পছন্দমতো চরিত্র তিনি পান সাথে হিসাবের অঙ্কটাও তাঁর কাছে যথেষ্ট হয়, তবে তিনি ধারাবাহিক করার কথা ভেবে দেখতে পারেন। তবে এখন তিনি তাঁর সন্তানদের মানুষ করার দিকেই বেশি মন দিতে চান।

সবমিলিয়ে তাঁর কথায় এটা স্পষ্ট যে তিনি ধারাবাহিক করে খুশি নন। তিনি আগেও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “প্রথম পাঁচ মাস ধারাবাহিক চিত্রনাট্য মেনে চলে। টিআরপি তলানিতে ঠেকলেই গল্পের গরু গাছে ওঠে। ওভাবে আমি কাজ করতে আর পারব না।” এই কারণেই টিভি সিরিয়ালে কাজ করার ইচ্ছেটা তার মনের মধ্যে মরে গিয়েছে। তাই এবার তাঁর শর্ত না মানলে তিনি কাজ করবেন না আর। তাঁর কথায়, “ছোট পর্দায় যদি আমায় নিতেই হয় তাহলে প্রযোজক পরিচালককে আমার শর্ত মানতে হবে, তারা আমার সঙ্গে সহযোগিতা করলে তবেই কাজ করার কথা ভাববো। আর তা নাহলে ছোটপর্দায় কাজ করার কথা আমি ভাববো না। ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করার মত শারীরিক পরিস্থিতি আমার নেই।”