বাংলা টেলিভিশনের বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলিতে একের পর এক আসছে নতুন ধারাবাহিক। বলা চলে যেন নতুন ধারাবাহিকের রীতিমতো মেলা বসে গেছে। সম্প্রতি স্টার জলসায় আসতে দেখা গেছে ‘পঞ্চমী’ এবং ‘বাংলা মিডিয়াম’। এছাড়া টিভির পর্দায় আরো দুটো ধারাবাহিকের সম্প্রচারের খবর রীতিমতো কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রকাশ করা হয়েছে। যে দুটি হল ‘মেয়েবেলা’ এবং ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’। এবার আরও একটি স্টার জলসায় নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’এর প্রমো গতকাল সামনে এলো।
প্রসঙ্গত এই ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী তৃণা সাহা এবং অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায় ও কৌশিক রায়কে। এই নতুন ধারাবাহিকটি হল লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা। এর আগেও এই তিন অভিনেতা অভিনেত্রীকে লেখিকার আলাদা আলাদা ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত তৃণা সাহা এবং কৌশিক রায় জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’তে মুখ্য ভূমকায় অভিনয় করতেন। এবং ইন্দ্রাশিষ রায়কে দেখতে পাওয়া যেত ‘ধুলোকণা’র মুখ্য ভূমিকায়।
এবার এই তিন অভিনেতা অভিনেত্রীকে একই ধারাবাহিকে দেখা যাবে। তবে প্রথম প্রমো সামনে আসার পরেই নানা রকম কটাক্ষ শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকেই বলছেন এর আগে লেখিকার ধারাবাহিক গুলোতে কিছুদিন চলার পরে ত্রিকোণ প্রেম বা পরকীয়া দেখানো হতো, কিন্তু নতুন ধারাবাহিক আসছে প্রথম থেকেই ত্রিকোণ প্রেম নিয়ে!
প্রসঙ্গত যে নতুন প্রমো সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণা সাহা অর্থাৎ তার অভিনীত চরিত্র ঝোরা হলো একজন রাজনৈতিক নেতার মেয়ে সেই সঙ্গে কৌশিক রায় অভিনীত চরিত্র মহার্ঘ্য হল সেই নেতার খুবই বিশ্বস্ত একজন মানুষ। এবং ইন্দ্রাশিস রায় অভিনীত চরিত্রটি হল ঝোরার প্রেমিক স্রোত। ঝোরার বাবা যেদিন নির্বাচনে যেতেন সেই দিন বক্তব্য রাখার সাথে সাথে ঝোরা এবং মহার্ঘ্যর বিয়ের ঘোষণা করেন এবং যার ফলে স্রোত ঝোরার থেকে দূরে চলে যায়।
এই প্রমো দেখে বোঝাই গেছে যে ধারাবাহিক শুরুর প্রথম থেকেই মহার্ঘ্য, ঝোরা এবং স্রোতের মধ্যে হতে চলেছে একটি ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু পরবর্তীতে গিয়ে এই সম্পর্ক কোথায় পৌঁছাবে তাই নিয়েই নানারকম কটাক্ষ শুরু করেছে অনেকে। নেটিজেনদের একাংশের মত, যে লীনা গাঙ্গুলী কি তার ধারাবাহিকে কোনরকম সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক দেখাতে পারেন না! এখনো পর্যন্ত এই ধারাবাহিকের সম্প্রচারের দিন বা সময় কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। তবে দর্শক অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে বসে রয়েছে যে ধারাবাহিক শুরুর পর কোন দিকে মোড় নেবে এই তিনজনের জীবন।