নিজের মেয়েকে স্কুলে দিয়ে চোখের জলে নাকের জলে এক হন রানী মুখার্জি! রাগের চোটে বর আদিত্য..
রানী মুখার্জি (Rani Mukerji) একসময় এই নামটা ঝড় তুলত সিনেমা প্রেমীদের মনে। বলিউডের অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন রানী মুখার্জি। বর্তমানে বলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রোডাকশন হাউস যশরাজের অন্যতম মালকিন তিনি! চোপড়া পরিবারের বড় বউ তিনি। যশ চোপড়ার পুত্রবধূ। আদিত্য চোপড়ার স্ত্রী। কাজের বাইরে খুব একটা দেখা মেলে না রানী-আদিত্যর। কাজ ছাড়া খুব একটা খবরেও থাকেন না তাঁরা। চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে ছবির মধ্যে দিয়ে আবারও বলিউডে ধামাকাদার কামব্যাক করেছেন এই অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ সিনেমার হাত ধরে সিনে দুনিয়ায় পথ চলা শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী। সবাই যে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন এমনটা নয়। কিন্তু সমালোচনাকে হারিয়ে নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দেশবাসীর মন জিতে নেন রানী মুখার্জি। হিট-ফ্লপ, উত্থান পতন সবকিছু পেরিয়ে এই হিন্দি সিনেমার জগতে পঁচিশ বছর পার করে ফেলেছেন এই অভিনেত্রী।
তবে সম্প্রতি রানী মুখার্জি সম্পর্কে একটা অজানা তথ্য সামনে এসেছে তিনি নাকি নিজের মেয়ের স্কুলে গিয়ে কাঁদেন। রানী এবং আদিত্য চোপড়ার কন্যা আদিরা। নিজেদের মেয়েকে সম্পূর্ণভাবে ক্যামেরার ঝলকানি থেকে দূরে রাখেন তারা। আজ অবধি আদিরাকে দেখতে পেয়েছেন এরকম মানুষের সংখ্যা বোধহয় হাতে গোনা। আসলে তারা চান তাদের সাফল্যের ঝলক যেন কোনওভাবেই তাদের মেয়ের জীবনে গিয়ে ব্যাঘাত না ঘটায়।
তা কেন নিজের মেয়ের স্কুলে গিয়ে কাঁদেন রানী?
একবার একটি আলাপচারিতায় করিনা কাপুরকে রানী মুখার্জি জানিয়েছিলেন, আমি তো আমার মেয়ের স্কুলে গেলেই কেঁদে ফেলি। অভিনেত্রীর কথায়, আমার মেয়ের পিটিএম-এ গেলেই আমার চোখের জল ধরে না। আসলে আমার মেয়ের স্কুলের শিক্ষিকারা ওর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ওনারা খালি বলেন, আপনি ওকে কী দারুণ বড় করেছেন ওকে। ও খুব মিষ্টি, সবাইকে সম্মান করতে জানে।
আর আদিরার নামে প্রশংসা শুনে আনন্দে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। তার মনে হয় তিনি অস্কার জিতে ফেলেছেন। অবশ্য রানীর এই বাড়াবাড়ি দেখে তাকে ধমক দিতে ছাড়েন না আদিত্য। আসলে তিনি অপ্রস্তুত হয়ে যান। সবার সামনে কেউ এমন ভাবে কাঁদে নাকি! যদিও মায়ের আবেগ কী আর সেই সব কথা শোনে!