সারা দেশ জুড়ে পুষ্পা যে পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তারপরে এই খবর সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মত। রমরমিয়ে ব্যবসা করছে ছবি এবং এর গানগুলো। তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম ও হিন্দি -এই ৫ টি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। দক্ষিণী এই সিনেমার চর্চা এখন গোটা দেশেই।
চন্দন দস্যুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রয়েছে লাল চন্দনের চোরা চালান চক্র, যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন আল্লু অর্জুন নিজেই। ছবিতে দেখানো হয়েছে এবং বাস্তবেও লাল চন্দনের বিপুল চাহিদা রয়েছে। মূল্যবান এই চন্দন এবং তার বিক্রি নিষিদ্ধ। কীভাবে পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে টন টন লাল চন্দন পাচার করা হয় সেটাই দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়। আর এখানেই হয়েছে সমস্যা। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই নাকি বাস্তবেও লাল চন্দন পাচার বেড়ে গিয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি নেলোর জেলার রাপুর জঙ্গল থেকে বেশ কিছুজন লাল চন্দন পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরেছে পুলিস। ঠিক ‘পুষ্পা’ ছবির স্টাইলেই চলছিল অপরাধের ওই চক। জানা যাচ্ছে, পুলিশের জালে ধৃত অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জন চন্দন কাঠ পাচারকারিকে পাওয়া গেছে এবং ৫৫ জন রয়েছে শ্রমিক।
এই চক্রের কাছ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ উদ্ধার করতে পেরেছে ৪৫ টি লাল চন্দন কাঠ, ২৪ টি কুড়াল, ৩১ টি মোবাইল, ১ টি গাড়ি, ৭৫ হাজার নগদ অর্থ। এই ঘটনার পর থেকেই উদ্বিগ্ন পুলিশ এবং সেই সঙ্গে প্রশাসন। অনেকেই বলছে যে পুষ্পা সিনেমাই নাকি এই ঘটনার ইন্ধন জুগিয়েছে। এই চক্রকে ধরতে পুলিশকেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।