‘রোজ রাতে সম্মান বিক্রি করতে হয় আমাকে তবুও…’ বিস্ফোরক মন্তব্য আলিয়া ভাটের! কার কাছে রোজ রাতে সম্মান বিক্রি করেন মহেশ ভাটের মেয়ে?

ভারতের অন্যতম বৃহত্ পতি’তালয় ‘কামাঠিপুরা’র রক্ষণাবেক্ষণ করেন আলিয়া ভাট ওরফে গাঙ্গুবাই। যদিও মুম্বই পুলিশের কাছে তিনি পরিচিত কুখ্যাত গ্যাংস্টার হিসেবে। গুজরাটের এক গ্রামের সাধারণ মেয়ে কীভাবে হয়ে উঠলো ‘কামাঠিপুরা’ পতিতালয়ের রক্ষী? সেই গল্প এবার বলবে সিনেমা ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’। ট্রেলারের ঝলক গায়ে কাঁটা দিয়েছে দর্শকদের।

ট্রেলারের শুরু হচ্ছে নেত্রী গঙ্গুবাইকে ঘিরে। এই চরিত্রে মিষ্টি আলিয়া ভাট মন কেড়ে নিয়েছেন এখুনি। তাঁর মিষ্টি মুখের আড়ালে যে বলিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটা অনবদ্য।

সে’ক্স ওয়ার্কদের প্রতি মুহূর্তের লড়াই, সমাজের মূলস্রোত থেকে ব্রাত্য থাকবার কষ্ট ফুটে উঠেছে গল্পে। যৌ’নকর্মীদের সন্তানদের যোগ্য সম্মানের দাবিতে সরব হয়েছেন আলিয়া। কামাঠিপুরার ‘লেডি ডন’ হিসাবে গঙ্গুর রুদ্ররূপ দেখতে পাওয়া যাবে এই সিনেমায়।

ষাটের দশকে গোটা কামাঠিপুরার কর্ত্রী ছিলেন গাঙ্গুবাই। অল্প বয়সে জোর করে যৌ’নবৃত্তিতে নামানো হয়। তারপর গঙ্গুবাই হয়ে ওঠেন মুম্বইয়ের সবচেয়ে বৃহত্ পতি’তালয়ের হর্তাকর্তা। কিন্তু জোড় করে যে সব মেয়েদের এই পেশায় ঠেলে দেওয়া হত তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল তিনি।

‘মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই’ থেকে জানা যায়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবার হিসাবরক্ষকের সঙ্গে গঙ্গা হরজীবনদাস কাথিওয়াড়ি গুজরাত থেকে মুম্বইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন।

কিন্তু প্রেমে করে বিয়ে করেও স্বামী তাঁকে বিক্রি করে দেয়। ডন করিম লালার একাধিক গ্যাং মেম্বার তাঁকে বারবার ধ’র্ষণ করে। ঘুরে দাঁড়িয়ে করিম লালার সঙ্গে দেখা করে গাঙ্গুবাই জয় করে নিয়েছিল করিম লালার মন। তাঁকে নিজের বোনের যোগ্যতা দেয় করিম লালা। এরপরই কামাঠিপুরায় একটি গণি’কালয় শুরু করেন গঙ্গুবাই।