তাঁর নামের সার্থকতা ছিল তাঁর কাজে, তাঁর সৌন্দর্যে। উল্লেখ্য, কবি-পরিচালক কুমারসেন সমর্থ এবং অভিনেত্রী শোভনা সমর্থের বড় মেয়ে ছিলেন নূতন। তাঁর দুই বোন তনুজা ও চতুরা এবং ভাই জয়দীপ। নূতনের মতো তাঁর বোন তনুজাও পরে নামী অভিনেত্রী হন। জয়দীপের জন্মের আগেই অবশ্য কুমারসেন-শোভনার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। এরপর চার সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন শোভনা সামর্থ্য।
উল্লেখ্য পরবর্তীতে এই মায়ের সঙ্গেই পরবর্তীতে আর্থিক বিবাদে জড়িয়ে ছিলেন নূতন। মায়ের বিরুদ্ধে নিজের উপার্জিত অর্থ তছরূপের অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকী মায়ের বিরুদ্ধে কোর্টে কেসও করেন নূতন। এবং জানা যায় দীর্ঘ ২০ বছর মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না নূতনের। এর প্রভাবে দূরত্ব বেড়েছিল ভাই-বোনদের সঙ্গেও।
ছোটবেলায় রোগা ছিলেন বলে তাঁর চেহারা নিয়ে অনেকেই উপহাস করত। যদিও ভবিষ্যতে তাঁর মাথাতেই ওঠে ভারত সুন্দরীর খেতাব। উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে প্রথম মা শোভনা সমর্থ পরিচালিত ও প্রযোজিত ‘হামারি বেটি’ ছবিতে অভিনয় করেন চোদ্দ বছরের নূতন। জানা যায়, নূতন যা আয় করতেন তার পুরোটাই চলে যেত এই প্রোযোজনা সংস্থায়। ভবিষ্যতে এই অর্থ নিয়েই মা-মেয়ের বিবাদ বাঁধে। উল্লেখ্য, নায়িকা হিসেবে নূতন প্রথম পরিচিতি পান ১৮৫৭ সালে, ‘সীমা’ ছবিতে। এই ছবির অসাধারণ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও পান তিনি। ‘সুজাতা’, ‘আনাড়ি’, ‘মঞ্জিল’, ‘পেয়িং গেস্ট’ একাধিক ছবিতে নিজের অভিনয় যোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ ঘটান অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, এছাড়াও ‘মিলন’, ‘বন্দিনী’, ‘সওদাগর’, ‘মেরি জঙ্গ’, ‘নাম’ সহ একাধিক সব সুপারহিট ফিল্ম রয়েছে তাঁর নামের পাশে। উল্লেখ্য, চার দশকের অভিনয় জীবনে মোট ছয় বার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারে পেয়েছেন নূতন। ব্যক্তিজীবনে বেশ উদাসীন, ছকভাঙা ছিলেন তিনি বলে জানা যায়। শিকার করার শখ ছিল তাঁর। নৌসেনার লেফ্টেন্যান্ট রজনীশ বহেলকে ১৯৫৯ সালে বিয়ে করেছিলেন নূতন। উল্লেখ্য, বিয়ের পর অভিনেত্রীর অভিনয় করা নিয়ে আপত্তি ছিল রজনীশের বলে জানা যায়। বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলেন তিনি নূতনকে। এমনকী গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল যে সেইসময় সঞ্জীবকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জনে অভিনেত্রীর সংসার জীবনে জটিলতা এসেছিল।