আজ সকালেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন আমাদের ভারতের নাইটিঙ্গেল লতা মঙ্গেশকর। 92 বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সুর সম্রাজ্ঞী। করোনা এবং নিউমোনিয়ার জোড়া আক্রমণে শরীর বিধ্বস্ত হয়েছিল বর্ষীয়ান এই কিংবদন্তীর।বিগত গত 28 দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি।
করোনামুক্ত হলেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল। গতকাল রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি ঘটে এবং তাকে আবার ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। তবে যেভাবে কালকে রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে সেলিব্রিটিরা আসতে শুরু করেছিলেন তাতে আন্দাজ করা যাচ্ছিল যে কিছু একটা অঘটন ঘটেছে। আজ সকালেই হাসপাতালে তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে চির শান্তির দেশে পাড়ি দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। দু দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন রাজ্য ও তাদের নিজেদের মতো করে শোক পালন করছে। পশ্চিমবঙ্গের সোমবার অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং আগামী 15 দিন ধরে রাজ্যে বাজবে লতা মঙ্গেশকরের গান। সারাদিন জুড়ে চলছে লতা বন্দনা।সকলেই বলছেন যে সরস্বতী পূজার পরের দিন বিসর্জন হয়ে গেল ভারতের সরস্বতীর।
আর এবার তার মাঝেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল সুরসম্রাট লতা মঙ্গেশকরের ওপর। তাহলে কি বিষের কারণেই মৃত্যু হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের? এরকমটা হলে তো গোটা ভারতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়বে।
না না চমকে যাবেন না ঘটনাটা এখনকার নয়। 1963 সালে ঘটেছিল এই ভয়ংকর ঘটনা।বিভিন্ন তথ্য সূত্র থেকে জানা যায় সেই সময় তিন মাস ধরে লতা মঙ্গেশকরের খাবারের মাধ্যমে তাকে ধীরে ধীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। তার শরীর এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে যে তিনি তিন মাস কোন গান গাইতে পারেন নি। পরে নিজেই জানিয়েছিলেন যে চিকিৎসকদের জন্যই তিনি বেঁচে যান এবং তারপরে আবার গান শুরু করেন।
কে এবং কী কারণে ঘটেছিল এই ভয়ঙ্কর ঘটনা? লতা মঙ্গেশকর জানিয়েছিলেন যে তিনি জানেন এই হীন কাজ কে করেছিলেন কিন্তু কোনো প্রমাণ না থাকায় তিনি কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।