Rekha: তখন রেখা ছিলেন নাবালিকা, বলপূর্বক এই কাণ্ড করে বসেছিলেন সুপারস্টার প্রসেনজিতের বাবা বিশ্বজিৎ! চলেছিল টানা পাঁচ মিনিট, কেঁদে ওঠেন রেখা
বিনোদন দুনিয়াকে বাইরে থেকে যতটা চকচকে দেখে মনে হয় ভেতরে কান পাতলে অনেক অজানা খবর জানতে পারা যায়। তার মধ্যে কোনটা হয় দুঃখের, কোনটা কষ্টের আবার কোনটা চমকে ওঠার মত। আসলে বাইরের চাকচিক্যের কারণে চাপা পড়ে যায় অনেক কান্না। তবে তার মধ্যেও চিরকালের রহস্যময়ী নারী হিসেবে থেকে গেছেন জনপ্রিয় সুপারস্টার অভিনেত্রী রেখা।
যদিও একটা রহস্য চেপে রাখতে পারেনতিনি। মুখ খুলেছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিশ্বজিৎ হলেন সম্পর্কে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের বাবা। সময়টা ছিল ষাটের দশক। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পিতা বিশ্বজিৎ বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে ঢুকেছেন মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে।
একটা সময় বাংলায় যেভাবে রাজত্ব করে গেছেন বিশ্বজিৎ ঠিক একইভাবে মুম্বইতে ছিল তার চর্চা। কিন্তু অভিযোগ একজন তারকা হওয়ার পাশাপাশি তিনি এতটাই অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিলেন যে একজন মহিলার সাথে যা খুশি করার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই মহিলা আর কেউ নন, স্বয়ং রেখা।
এই ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬৯ সালে ‘আনজানা সফর’ ফিল্মের শুটিংয়ে। তৎকালীন নায়করা নায়িকাদের সঙ্গে অতটাও খোলামেলাভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ভাবে ‘লিপ’লক কি’স’ করতেন না। পরিচালক ‘অ্যাকশন’ বলা মাত্রই বিশ্বজিৎ বলপূর্বক তাঁর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চু’ম্বন করতে শুরু করেন যা চলে টানা পাঁচ মিনিট ধরে। প্রায় কেঁদে ফেলেন রেখা।
অভিনেতাকে তখন কেউ থামাতে পারেনি। পরিচালকও ‘কাট’ বলেননি। এই ঘটনার সময় ফিল্ম ইউনিটের সদস্যরা হাসাহাসি শুরু করে দেয়। রেখাকে নাকি এই দৃশ্যের কথা আগে জানানো হয়নি। রেখা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলেন।