অসুস্থ শরীর, বসা গলা মঞ্চ মাতালেন ঋতিকা! “তুই একজন রকস্টার” গান শুনে চোখের জলে আবেগে ভাসলেন শ্রেয়া ঘোষাল!

ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫-এর মঞ্চে এবার রাজশ্রী প্রোডাকশন হাউজের বিশেষ পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বিশেষ পর্বে প্রতিযোগীরা জনপ্রিয় বলিউড গান পরিবেশন করেন, যা দর্শকদের মন জয় করে নেয়। তবে সবার নজর কাড়েন প্রতিযোগী ঋতিকা, যিনি অসুস্থ শরীর নিয়েও অনবদ্য পারফরম্যান্স করেন। তাঁর সুরেলা কণ্ঠ ও অনবদ্য অভিব্যক্তিতে মুগ্ধ হয়ে পড়েন বিচারকরা, বিশেষত শ্রেয়া ঘোষাল, যিনি অনুভূতি সংবরণ করতে না পেরে কেঁদে ফেলেন।

ঋতিকা এই দিন মঞ্চে পরিবেশন করেন রাজশ্রী প্রোডাকশনের বিখ্যাত ছবি হাম আপকে হ্যায় কৌন থেকে জনপ্রিয় গান দিদি তেরা দেওর দিওয়ানা। শুধু গান গাওয়াই নয়, অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি নাচ ও এক্সপ্রেশনের মাধ্যমে পুরো পরিবেশনা সম্পূর্ণ করেন। তাঁর পারফরম্যান্স শেষ হতেই বিচারকরা দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। শ্রেয়া ঘোষাল মুগ্ধ হয়ে বলেন, “ঋতিকা, তুই একজন রকস্টার!” সেই মুহূর্তে আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি এবং বারবার ঋতিকার প্রশংসা করতে থাকেন।

শ্রেয়া আরও জানান, ঋতিকা পারফরম্যান্সের আগে একদমই কথা বলতে পারছিলেন না, এমনকি কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি ঋতিকার কাছে গিয়ে জানতে চান, গান গাইতে পারবেন কিনা। যখন দেখেন তিনি আস্তে আস্তে সুর ধরতে পারছেন, তখন তাকে কথা না বলে কেবল কণ্ঠ ঠিক রাখার পরামর্শ দেন। এত কষ্টের মধ্যেও ঋতিকা হাসিমুখে মঞ্চে ওঠেন এবং শক্তিশালী পরিবেশনা দেন, যা বিচারক ও দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

শুধু শ্রেয়া নন, বিশাল দাদলানিও ঋতিকার সাহসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ওর গলা একদম ভেঙে গিয়েছিল, কথাই বলতে পারছিল না। এত অসুবিধার মধ্যেও যে এত ভালো গাইল, সেটাই একজন প্রকৃত শিল্পীর পরিচয়। জীবন কষ্টের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যায়, আর ঋতিকা সেটাই প্রমাণ করল।” বিচারকদের কথায় বোঝা যায়, প্রতিযোগিতার এই পর্যায়ে এসে ঋতিকা শুধুমাত্র গায়িকা নন, এক অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

আরও পড়ুনঃ ৮৩ তে পা মাধবী মুখোপাধ্যায়ের! রয়ে গেছে এক অপূর্ণই ইচ্ছে, জীবনের অন্তিম ছবিতে কার সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি?

ঋতিকার এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স শুধু বিচারকদের নয়, দর্শকদের মনও ছুঁয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পারফরম্যান্স ভাইরাল হতে শুরু করেছে, যেখানে দর্শকরা তাঁর সাহস ও প্রতিভার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজের স্বপ্ন পূরণের যে অদম্য ইচ্ছাশক্তি তিনি দেখিয়েছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। ইন্ডিয়ান আইডল-এর মঞ্চে এই ধরনের মুহূর্তই প্রমাণ করে, প্রকৃত শিল্পী প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠে।