বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম থেকেই তাঁকে নিয়ে মাতামাতি। বিভিন্ন সময় তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন স্টোরি হয়ে থাকে সংবাদমাধ্যমে। তাঁর কিছু না কিছু কাজেই, তিনি নিজের দিকে টানেন সকলকে।
এমনিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে ‘স্টার কিড’দের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সেটা আজকের নয় বরাবরের। তবে সেই ‘স্টার কিড’ যদি আবার নবাব পরিবারের হয়, তাহলে তো কথাই নেই। অল্প বয়স থেকেই তার গতিবিধিতে নজর থাকে পাপারাৎজিদের। সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খানের প্রথম সন্তান বলে কথা। তবে এখন তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে, তাঁর সামনে তাঁর বাবাও কমপ্লেক্সে ভোগেন।
প্রকাশ্যে যখনই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়, তখনই এক ঝাঁক ক্যামেরা ছুটে যায় তাঁকে নিজেদের ক্যামেরায় বন্দী করতে। ইতিমধ্যেই ক্যামেরাকে ভালোমতো সামলাতে শিখে গেছেন নবাব পুত্র। তবে সম্প্রতি নিজের ছেলেকে বিক্রি করে দেবেন বলে জানালেন সইফ। শোনা গিয়েছে, বেশ মোটা টাকার অ্যামাউন্টও পাবেন তিনি।
এদিকে স্বামীর মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন করিনা কাপুর খান। যদিও সেই কথাটি মজার ছলেই বলেছিলেন সইফ। কিন্তু তাতে রেগে গিয়েছেন করিনা কাপুর খান। একটি সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে হাসি-মজা করতে করতে একটি ঘটনার কথা বলেন সইফ।
একবার একজন প্রযোজক তাঁকে মজার ছলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সইফ যেন তাঁর ছবির প্রচারে ব্যবহার করেন তৈমুরকে। যার জন্য মোটা টাকা পাবেন তিনি। যা শুনে বেজায় খুশি হয়েছিলেন সইফ আলি খান। তবে স্ত্রীর কাছে এই খবর পৌঁছালে, মজার কথা ভুলে যান সইফ। উপরন্ত করিনা কাপুর খান এধরনের প্রস্তাব খারিজ করেন। করিনা কাপুর খান তাঁর মজাতে খুবই রেগে গিয়েছিলেন।
স্বামীর প্রস্তাবে বলে উঠেছিলেন, নিজের ছেলেকে কখনোই তুমি বিক্রি করতে পারোনা। সরাসরি সইফ আলি খানকে বলেছিলেন ‘ছ্যাচরাপোনাটা’ কম করতে বলেন। তবে সইফ নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। এই নিয়ে নেটমাধ্যমে প্রায়ই লোকজন তাঁকে জিজ্ঞেস করতেন।
একদিন নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে তৈমুরকে পেশ করতে চেয়েছেন বাবা সইফ আলি খান। যেমন বাচ্চাদেরকে কোন বাচ্চার প্রোডাক্টের মুখ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন। তার থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে কোন কাজে লাগাবেন। কিছুটা অর্থ তৈমুরের পড়াশোনার জন্য থাকবে। আর কিছুটা নিজেদের ছুটি কাটানোর জন্য। কিন্তু করিনা কাপুরের চিৎকারে অভিনেতার পরিকল্পনা সফল হয়ে ওঠেনি। নিজের মজার কথাগুলি পরবর্তীকালে মাথাতেও আনেননি সইফ আলি খান।