চীনকে পৃথিবীর সব দেশই একটু ভয় পায়। কারণ চীন করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই। সব সময় দাদাগিরি ফলায় যে আমেরিকা সেই আমেরিকাও খানিকটা সমঝে চলে চীনকে। আর এবার জানা গেল চীন নাকি তৈরি করছে হিউম্যানজি। শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের সংমিশ্রণে তৈরি এক প্রাণী এই হিউম্যানজি।
বেশ কিছুদিন আগে শোনা গেছিল বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন এই হিউম্যানজি বানানোর জন্য। কিন্তু এসবের মধ্যেই দা সান পত্রিকা থেকে জানা যায়,একদল চীনা বিজ্ঞানী পরীক্ষার জন্য একটি মহিলা শিম্পাঞ্জির শরীরে মানুষের শুক্রাণু স্থাপন করেছিল। যাতে করে সেই গর্ভবতী শিম্পাঞ্জির শরীর থেকে হিউম্যানজি তৈরি করা যায়।তবে ১৯৬০-এর দশকে চীনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কারণে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৩ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় মারা যায় মহিলা শিম্পাঞ্জিটি।
এই বিষয়ে সেই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এক বিজ্ঞানী ডাঃ জি ইয়ংজিয়াং জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি প্রাণী তৈরি করতে হবে, যার মধ্যে শিম্পাঞ্জির মতো শক্তি থাকবে এবং যে কথাও বলতে পারবে। আর যে প্রাণীকে মহাকাশ, খনির কাজ, ভারী কৃষি কাজ এবং সমুদ্রের গভীরতম স্থানে অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার করা যাবে’।
দা সান পত্রিকা থেকে আরো জানা গেছে, হাইব্রিডাইজেশন প্রকল্পের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি হিউম্যান জিকে জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। ল্যাব কর্মীরাই তাঁকে হত্যা করে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক জুয়ান কার্লোস ইজপিসুয়া বেলমন্টের নেতৃত্বে এক বিজ্ঞানীদের দল ২০১৯ সালে একটি ‘সংকরায়ণ’ পদ্ধতিতে সফল হয়েছিলেন। যার ফলে মানুষ এবং বানরের একটি হাইব্রিড তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেই হাইব্রিড প্রাণীটি মাত্র ১৯ দিন বেঁচে ছিল।
তাই চীন যদি এরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে করতে হঠাৎ একদিন সফল হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর জন্য যে অন্ধকার নেমে আসছে একথা বলাই বাহুল্য।