ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ৯০ বছরে পা দিতে চলেছেন তিনি। অথচ বয়স যেন কেবলই সংখ্যামাত্র! এক সপ্তাহের টানা চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। সাত দিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানির পর বুধবার সকালে বাড়ির পথে রওনা দেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখন অনেকটাই স্থিতিশীল অভিনেতার শারীরিক অবস্থা। বাকি চিকিৎসা আপাতত বাড়িতেই চলবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ধর্মেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ মহল থেকেও এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ধর্মেন্দ্রকে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন ছোট ছেলে ববি দেওল। হাসপাতাল চত্বরে তাঁদের দেখা মিলতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই দৃশ্য। হাসি ফুটে ওঠে দেওল পরিবারের সদস্যদের মুখে। যদিও হেমা মালিনী বা সানি দেওলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা। বয়সজনিত আরও কিছু সমস্যা থাকায় চিকিৎসা চলছিল নিবিড় পর্যবেক্ষণে। সোমবার রাত থেকেই হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে গুজব— ধর্মেন্দ্রর অবস্থা নাকি আশঙ্কাজনক, এমনকি কেউ কেউ দাবি করেন তিনি প্রয়াত। এই খবর ছড়াতেই হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমে বলিউডের তারকাদের। রাতেই দেখা করতে যান শাহরুখ খান, সলমন খানসহ একাধিক তারকা।
তবে গুজব উড়িয়ে দেন হেমা মালিনী ও তাঁদের কন্যা ঈশা দেওল। ঈশা সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাবা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন, তাঁর অবস্থা উন্নতির দিকে। দয়া করে মিথ্যে খবর ছড়াবেন না।” ক্ষোভ প্রকাশ করে হেমাও বলেন, “জীবিত একজন মানুষকে মেরে ফেলার মতো অমানবিক কাজ করা হচ্ছে— এটা অকল্পনীয়!”
আরও পড়ুনঃ সত্যিকারের শিল্পী! ৩,৮০০ দুঃস্থ শিশুর হার্ট সার্জারির খরচ বহন করে মানবসেবায় অনন্য নজির গড়ে গিনেস বুকে নাম তুললেন গায়িকা পলক মুচ্ছল
বর্তমানে বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলছে ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি। তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছে সমগ্র বলিউড— আর ভক্তদের মুখেও এখন কেবল একটাই কথা, “ধর্মেন্দ্র ফিরছেন আগের মতো হাসিমুখে!”






