বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল ছেলে, এদিকে সমস্ত সম্পত্তি ম্যাজিস্ট্রেট নামে করে দিলেন বাবা

নচিকেতার বৃদ্ধাশ্রম গানটি গেয়েছেন এক দশক আগে, তবুও পরিবারের মধ্যে এই সমস্যা কমছে কই? বরং যত দিন এগিয়েছে ততই মানুষ ক্রমশ স্বার্থপর হয়ে উঠেছে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারলেই মানুষ খুশি। পরিবারের বাকিদের কথা, দাদু দিদা কথা আজকাল মানুষ আর ভাবতেই পারে না।
তবে সম্প্রতি এমনই একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে যাতে করে অনেক বৃদ্ধ এই ঘটনা দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারেন। গনেশ শংকর নামক জনৈক এক ৮৮ বছরের বৃদ্ধ বয়সে তার সন্তানদের থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।তার দুটি সন্তানই তার সব দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। কিছুটা বাধ্য হয়ে তিনি নিজের ভাইদের সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তিনি নিজে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে তারিফ করার মতোই। নিজের দুই ছেলেকে তার সমস্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন তিনি।
home
আগ্রা জেলার ছাতনা থানা এলাকার বাসিন্দা গণেশ বাবুর নিজের তামাকের দোকান আছে। পাশাপাশি একটি পুরানো বাড়ি আছে তার।গণেশ বাবুর তিন ভাই নরেন শংকর পান্ডে, রঘুনাথ পান্ডে এবং অজয় শংকরের সাথে এক হাজার গজ জায়গার ওপর বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেন। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা।
বর্তমানে গণেশ বাবুর অংশের বাড়ির মূল্য ২ কোটি টাকার কিছু বেশি।গণেশ বাবু জানান, দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের জন্য ভাইদের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। দুই ছেলে থাকলেও তারা দেখাশোনা করতে নারাজ। তাই এই বিশাল সম্পত্তি ছেলেদের না দিয়ে ডিএম আগ্রার নামে স্থানান্তরিত করে দেবার সিদ্ধান্ত নেন গণেশ বাবু।
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বাড়িটি নিয়ে নতুন উইল করা হয়।সিটি ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপাল চৌহান জানিয়েছেন, যে জায়গাটি স্থানান্তরিত করা হয়েছে তার দাম কয়েক কোটি টাকা। উইলের এক কপি গণেশবাবুর ভাইদের কাছে রয়েছে অন্য কপি রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। এই উইল গণেশ বাবু নিজে করেছেন এবং এতে ওনার ভাইদের কোন আপত্তি নেই।