শহর জুড়ে চলতে থাকা কোটা আন্দোলনের উত্তাপে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু গত রবিবার দুপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা একজন জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেত্রীর (Famous Bengali Actress) জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাজ মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভমুখর পরিস্থিতির ভিড়ে আটকে গিয়ে কীভাবে হঠাৎ করে আতঙ্কে ভর করেছিলেন, সেই কাহিনি শুনে নেটিজেনদের একাংশও বিস্মিত হয়েছেন!
ঘটনার সময় দুপুর গড়িয়ে প্রায় সাড়ে বারোটার কাছাকাছি। মুম্বাইয়ের রাস্তাজুড়ে হাজার হাজার মানুষ স্লোগান তুলছিলেন, প্রতিবাদে সরব হচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই আন্দোলনকারীদের একাংশ একটি গাড়িকে ঘিরে ধরে, শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। গাড়ির কাচে আঘাত করা হয়, এমনকি বনেটেও জোরে আঘাত হানে এক বিক্ষোভকারী। মুহূর্তেই পরিস্থিতি তীব্র রূপ নেয়। স্লোগানের আওয়াজের পাশাপাশি লোকের খারাপ দৃষ্টি যেন আরও আতঙ্ক ছড়ায়।
এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন হিন্দি সিনেমা ও টেলিভিশনের পরিচিত মুখ তথা বাঙালি অভিনেত্রী সুমনা চক্রবর্তী। দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবা থেকে ফোর্টের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর গাড়িকে আন্দোলনকারীরা ঘিরে ধরলে একেবারে থমকে যান। এত বছর ধরে যে শহরকে তিনি নিজের ভেবে নিশ্চিন্ত ছিলেন, সেই পরিচিত রাস্তায় এমন নিরাপত্তাহীন মুহূর্তের সম্মুখীন হতে হবে, স্বপ্নেও ভাবেননি সুমনা।
সমাজ মাধ্যম পোস্টে অভিনেত্রীর আক্ষেপ ছিল আরও বড়। কাছেই নাকি দাঁড়িয়েছিল পুলিশ, কিন্তু তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বদলে নির্বিকারভাবে আড্ডায় মেতেছিল বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। রাস্তাজুড়ে কলার খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, আবর্জনার স্তূপ—সবকিছু মিলে যেন শহরের নাগরিক চেতনার করুণ ছবি ফুটে উঠেছিল সেদিন। তাঁর মতে, এই দৃশ্য আসলে আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিরই প্রতিচ্ছবি।
আরও পড়ুনঃ প্লুটোর মৃ’ত্যুর জন্য মিঠিকে কাঠগড়ায় তুলল মৌ! প্লুটোর স্মরণসভায় অনন্যার প্রবেশে মানসিক চাপে ভেঙে পড়ল মিঠি! মৌ-বর্ষার একযোগে দোষারোপে চরমে পরিস্থিতি, স্বতন্ত্র-কমলিনী কি পারবে মিঠিকে এই পরিস্থিতি দিয়ে বের করতে?
নিজের পোস্টে সুমনা আরও লিখেছেন, নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই নিরাপদ থাকার অধিকার আছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, শাসনব্যবস্থা আর নাগরিক দায়িত্ববোধের প্রহসন কেনই বা তাঁদের প্রাপ্য হবে? সৌভাগ্যবশত তাঁর সঙ্গে এক বন্ধু ছিলেন, না হলে আরও খারাপ হতো পরিস্থিতি। তিনি স্বীকার করেছেন, ভিডিও করে জনতার আক্রমণাত্মক আচরণকে প্রকাশ করার ইচ্ছে থাকলেও পরিস্থিতি খারাপ হবে ভেবে সেই পদক্ষেপ নেননি।