অভিনেত্রীকে গাড়িতে আটকে গ’ণধ’র্ষ’ণ! অবশেষে গ্রে’ফতার নায়ক সহ অ’ভিযুক্তরা

দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া সেই অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে। এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে কোচিতে অপহরণ করে গাড়ির ভিতরে দুই ঘণ্টা ধরে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই, যা প্রায় এক দশক ধরে খবরের শিরোনামে ছিল। সোমবার কেরলের একটি আদালত বহু প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা করল এবং মামলার গতিপথ নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা হল।

আদালতের রায়ে স্পষ্ট জানা যায় যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা একাধিক ভয়ঙ্কর অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। আদালত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে অপহরণ, আক্রমণ, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং গণধর্ষণের মতো গুরুতর ধারায় মোট ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তদন্তকালীন সময়ে উঠে আসে দশজনের নাম এবং তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ২৬১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে শোনা হয়, যার মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্র জগতের নামী ব্যক্তিত্বরাও।

এই মামলার অষ্টম নম্বর অভিযুক্ত ছিলেন মালয়ালমের এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় পুরুষ অভিনেতা। ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে এবং পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীদের দাবি ছিল প্রধান অভিযুক্তের পাঠানো একটি চিঠির সূত্রেই তাঁর নাম উঠে আসে। বেশ কয়েক মাস জেলবন্দি থাকার পর তাঁকে জামিন দেওয়া হয় এবং সিবিআই তদন্তের আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দেয়।

এর্নাকুলামের জেলা ও দায়রা আদালত সোমবার সকাল এগারোটায় ঘোষণা করে যে এই অভিনেতাকে মামলার সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করা হচ্ছে। আদালত জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ টেকসই হয়নি এবং প্রমাণ অপর্যাপ্ত। প্রায় আট বছরের জটিল বিচার প্রক্রিয়ার শেষে তিনি রেহাই পেলেন, যদিও মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর রায়ই বহাল থাকে।

আরও পড়ুনঃ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় সংসার চলে, আবার দাদাদের বাইকও চলে…স্ত্রীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে আর স্বামীরাও তেল ভরার টাকা পাচ্ছে!’ সায়নীর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া নেটপাড়ায়!

এই রায়ের ফলে মামলাটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে বহু বছর ধরে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই ঘটনা আবারও সামনে আনল আইন, ন্যায় ও ন্যায়বিচার নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা। অনেকেই মনে করছেন, এত দীর্ঘ সময় ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলা নিজেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই রায় ভবিষ্যতে এ ধরনের মামলার পথে দিশা দেখাতে পারে।A

You cannot copy content of this page