গল্প পড়তে গিয়ে গলা ধরে যাচ্ছে, চোখে জল ভরে গেছে! মীরের কন্ঠে আজ শেষ সানডে সাসপেন্স শ্রোতারা, মনখারাপ ভক্তদের

রবিবাসরীয় দুপুর মানেই আমাদের সঙ্গী সানডে সাসপেন্স। আর ঠিক এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কোথাও না কোথাও প্রতিটি বাঙালির সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন মীর আফসার আলি। প্রতি রবিবার রেডিও মির্চিতে শোনা যায় গায়ে শিহরণ জাগানো ভৌতিক অথবা রহস্যের গল্প। সেগুলি পাঠ করে থাকেন মীর। প্রতি সপ্তাহে মানুষ রবিবারের জন্য অপেক্ষা করে থাকে ঠিক এই কারণেই।

কিন্তু এই রবিবারটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। কারণ শ্রোতারা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে যে আর রেডিও মির্চিতে কাজ করবেন না মীর। নিজের সে কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপর থেকেই মন ভার তাঁর হাজার দর্শক এবং শ্রোতাদের। এই রবিবারই শেষ রবিবার ছিল যেদিন মীরের কন্ঠে সানডে সাসপেন্স শোনা গেল। তাই সে চেনা কন্ঠ শুনেও আনন্দ হলো না শ্রোতাদের। বরঞ্চ আরো বেশি মন খারাপ জাপটে ধরেছে তাদের।

আর মীর? তাঁর কী অবস্থা? ২৭ বছর তাঁর জীবন যাপনের সঙ্গী ছিল রেডিও মির্চি। সানডে সাসপেন্স পাঠ করার সময় মনে হলো মীরের কণ্ঠও ভিজে আসছে যেন জলে। অধিকাংশ শ্রোতাদের বক্তব্য মীর চলে গেলে আর সেভাবে সানডে সাসপেন্স হয়তো শোনা হবে না কিংবা জমে উঠবে না রবিবারের অলস দুপুর।

এদিন শেষ সানডে সাসপেন্স- এর লিংক শেয়ার করে মীর লিখেছেন ছেড়ে আসার কয়েকদিন আগে রেকর্ড করা। গল্প পড়তে পড়তে বারবার গলা ধরে গেছে। এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। এই গল্পটা পড়ার জন্য সবথেকে বেশি তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন ক্যাপ্টেন ও তাঁর সহকর্মী পুষ্পল গাঙ্গুলী।

এদিন দুপুরে শোনা গেলো এডগার এলাম পো- এর লেখা “দা টেল টেল হার্ট”। কেউ যদি মিস করে যায় তাই তাদের জন্য রেডিও মির্চির ইউটিউব চ্যানেলে লিংক দেওয়া থাকে গল্পের।