বড়দিন পেরোতেই রাজনীতিতে চমক অভিনেত্রী পার্নো! বিরোধী দল বদলে ঘাসফুলে ফিরছেন নায়িকা!

বছরের শেষলগ্নে রাজ্য রাজনীতিতে বড়সড় চমক। বড়দিনের আমেজ কাটতে না কাটতেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এল অভিনেত্রী পার্নো মিত্রের নাম। খবর অনুযায়ী বিরোধী শিবির ছেড়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। নতুন বছর দোরগোড়ায় আর তার সঙ্গেই সামনে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক এই সময়ে পার্নোর এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের কথা রয়েছে তাঁর। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতেই এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে।

যদিও পার্নো নিজে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে ধরা দেননি অভিনেত্রী। তবে শাসকদল ঘনিষ্ঠ এক রাজনীতিবিদ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেকেও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দলবদল যে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। রাজনীতির অন্দরে প্রশ্ন উঠছে কোন সমীকরণে এই সিদ্ধান্ত নিলেন পার্নো এবং ভবিষ্যতে তাঁর ভূমিকা কী হতে চলেছে।

এই খবর ঘিরে টলিপাড়াতেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির একাংশ মনে করছে বিরোধী শিবির এখনও বাংলায় তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ও বার্তা নিয়ে স্পষ্ট নয়। সেই তুলনায় শাসকদলের সংগঠন ও জমি অনেক বেশি মজবুত। এই প্রেক্ষাপটে পার্নোর সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেই দেখছেন অনেকেই। রাজনৈতিক বাস্তবতা বুঝেই অভিনেত্রী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন এমন মতও শোনা যাচ্ছে।

অভিনয়জীবনে পার্নো মিত্রের পথচলা শুরু হয়েছিল দুই হাজার সাত সালে। ছোটপর্দায় রবি ওঝার জনপ্রিয় ধারাবাহিক খেলা দিয়ে তাঁর আত্মপ্রকাশ। পরে অঞ্জন দত্তের হাত ধরে বড়পর্দায় আসেন তিনি। রঞ্জনা আমি আর আসব না ছবিতে তাঁর অভিনয় আলাদা করে নজর কেড়েছিল। এরপর বেডরুম মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর রাজকাহিনী আলিনগরের গোলকধাঁধা অপুর পাঁচালি অঙ্ক কী কঠিন সহ একাধিক উল্লেখযোগ্য ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

“অতীতে বহুবার জিৎকে ডেকেছি, কিন্তু তিনি আসেননি”— অকপট দেব! ২০ বছরের উদযাপনে নিমন্ত্রণ না-পাওয়ার আড়ালে কি সত্যিই লুকিয়ে অন্য কোনও সমীকরণ? জিতের নিমন্ত্রণ না-পাওয়ার আড়ালে কি তবে রয়েছে পুরনো অভিমান?

রাজনীতিতে পার্নোর প্রবেশ দুই হাজার উনিশ সালে। সেই সময় তিনি পদ্মশিবিরে যোগ দেন এবং দুই হাজার একুশ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হলেও তাঁর রাজনৈতিক উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা থামেনি। নির্বাচনের আগেই শাসকদলের বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে দোল উৎসবে নৌকাবিহার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই ঘটনার সূত্র ধরে তৎকালীন সময়ে বিরোধী শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় কটাক্ষ করেছিলেন। সময়ের ব্যবধানে এবার সেই সব সমীকরণ বদলে নতুন অধ্যায়ের পথে পার্নো মিত্র।

You cannot copy content of this page