“আমরা দু’জনেই ম্যাচিওর্, ও ভালো আছে, আমিও…” “সেদিনই সব মিটিয়ে নিয়েছি, অনিশ্চিত জীবনে ঝগড়া পুষে রাখব কোথায়?” শুভশ্রীর সঙ্গে তিক্ততার গুঞ্জন আর ‘ইনোসেন্ট বিতর্ক’ নিয়ে অকপট দেব!

টলিপাড়ার এক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত জুটিগুলোর মধ্যে দেব ও শুভশ্রীর (Dev Subhashree) নাম অবশ্যই প্রথম সারিতে আসবে। পর্দার রসায়ন যেমন দর্শককে টেনেছিল, তেমনই তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কও একসময় ছিল সর্বত্র চর্চার কেন্দ্রে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক ভেঙেছে, বদলেছে সমীকরণ আর আলাদা পথে হেঁটেছেন দুজনেই। তবু এত বছর পরেও তাঁদের নাম জড়িয়ে কোনও কথা উঠলেই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে যেন কানাঘুষো শুরু হয়ে যায়! পুরনো অধ্যায় শেষ হলেও, সেই অধ্যায়ের ছায়া যে পুরোপুরি মুছে যায়নি, সেটাই বারবার প্রমাণ হয়।

ঠিক এই প্রেক্ষিতেই দেবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে। গতকাল ‘প্রজাপতি ২’ মুক্তি সহ নিজের জন্মদিনে হল-ভিজিট করতে গিয়ে তিনি যেভাবে শুভশ্রীর প্রসঙ্গ উঠতেই সংযত এবং পরিণত উত্তর দিলেন, তাতেই যেন সামনে এল তাঁদের সম্পর্কের উষ্ণতা। দেবের কথায় কোনও তিক্ততা নয়, বরং ছিল একধরনের পরিণত স্বীকারোক্তি! দেব স্পষ্ট করেই জানালেন, ‘ছোট্ট এই ইন্ডাস্ট্রিতে অকারণ মনোমালিন্য পুষে রাখার জায়গা নেই।’ জীবনের অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে সিনেমার বাইরে ব্যক্তিগত রাগ বা ভুল বোঝাবুঝিকে টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে তিনি খুঁজে পান না।

এই কথারই বাস্তব উদাহরণ হিসেবে উঠে এল পরমব্রতর সন্তানের অন্নপ্রাশনের দিনটির কথাও। সেখানে শুভশ্রীর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হওয়া, নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে কথা বলার ঘটনাও তিনি সামনে আনেন। মোট কথা, এদিন বলা কথা যেন দেবের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিষ্কার করে দিয়েছে। কোনও আড়াল না রেখে, হালকা রসিকতার ছলে তিনি নাকি জানতে চেয়েছিলেন শুভশ্রীকে, কেন তাঁকে নিয়ে বাজারে এত ‘ইনোসেন্ট’ মন্তব্য শোনা যাচ্ছে! সেই কথোপকথনেই নাকি দুজনের মধ্যে থাকা জট খুলে যায়।

দেবের ভাষায়, ‘সেদিনই সব মিটে গেছে, কারণ আমরা দু’জনেই এখন নিজেদের জায়গায় স্থির এবং যথেষ্ট ম্যাচিওর।’ দেব এটাও স্পষ্ট করেছেন, ‘সম্পর্ক ভেঙেছে মানেই শত্রুতা নয়, এখনও তাঁরা একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী। শুভশ্রী তাঁর নিজের জীবনে ভালো আছেন, দেবও তাঁর মতো করে এগোচ্ছেন আর এই বাস্তবতাটাই তিনি মেনে নিয়েছেন। আলাদা রাস্তা বেছে নেওয়ার পরেও একে অপরের জন্য সহানুভূতি রাখাতেই তিনি বিশ্বাসী। দেবের কথায় কোনও অভিযোগ বা দোষারোপ নেই, বরং একধরনের শান্ত দূরত্ব যেটা হয়তো সময়ের সঙ্গে আসা পরিণতির ফল।

আরও পড়ুনঃ চরম অসুস্থ শরীর নিয়েও, বুকে হল্টার মনিটর লাগিয়ে টানা কাজ চালিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী! শারীরিক অবস্থা উদ্বেগজনক, এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী?

এই ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের ঊর্ধ্বে, অভিনেতা হিসেবেও দেব নিজের অবস্থান নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আসন্ন বছরভর কাজ, দর্শকের ভালোবাসা আর প্রেক্ষাগৃহে ভরপুর উপস্থিতি তাঁকে বরাবর মানসিকভাবে শক্ত করেছে আর ভবিষ্যতেও এটাতেই জোর দিতে চান তিনি। যাঁরা তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন, তাঁদের কথায় তিনি আর বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না। দর্শকের হাসি, চোখের জল আর আশীর্বাদ নিয়েই তিনি সামনে এগোতে চান। দেব যেন এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, যেকোনও বিষয়ে শান্ত থাকাটাই এখন তাঁর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

You cannot copy content of this page