নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে নিজের রাজনৈতিক জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। তৃণমূল ভবনে উপস্থিত থেকে দলীয় পতাকা হাতে নেওয়ার মুহূর্তে তাঁর চোখেমুখে ছিল আত্মবিশ্বাস আর এক নতুন প্রত্যাশার ছাপ। রাজনীতির ময়দানে এই বদল নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
দলবদলের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো জানান এই দিনটি তাঁর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন গতকাল বড়দিন পেরিয়েছে আর আজ তাঁর জীবনের আর এক বড়দিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন এবং সেই পথেই এগিয়ে যেতে চান। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের প্রতিও আস্থা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী।
নিজের অতীত সিদ্ধান্ত নিয়েও অকপটে কথা বলেন পার্নো। তাঁর কথায় ছয় বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কিছু আশা আর পরিকল্পনা নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারেন বাস্তব পরিস্থিতি তাঁর ভাবনার সঙ্গে মিলছে না। মানুষ মাত্রই ভুল করে আর সেই ভুল সংশোধন করতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে স্পষ্টভাবে জানান অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য দুই হাজার উনিশ সালের জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র। বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবেই তিনি নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তাঁর বিপরীতে ছিলেন তৃণমূলের তাপস রায়। সময় বদলেছে রাজনীতির সমীকরণও বদলেছে। বর্তমানে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি তালিকায় বড়দিনের ডবল ধামাকা! শীর্ষে জি বাংলার ‘পরিণীতা’ ও স্টার জলসার ‘পরশুরাম’! শুরুতেই তালিকায় স্থান দখল করলো ‘তারে ধরি ধরি মনে করি’! বছরের শেষে বাকি ধারাবাহিকের অবস্থান কোথায়?
দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির নিয়ে পার্নোর মনে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল তা ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি প্রকাশ করেছিলেন বলেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছিল। অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ল। রাজনীতি ও বিনোদনের মেলবন্ধনে পার্নোর এই নতুন যাত্রা আগামী দিনে কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে বাংলা।






