শুরু হয়ে গেছে জি বাংলার নতুন রান্নার শো রন্ধনে বন্ধন (Randhane bandhan)। একসময়কার জনপ্রিয় রান্নার শো ছিল জি বাংলার রান্নাঘর। সুদীপার রান্নাঘরের পর বেশ কিছুসময় ধরে সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেছিলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। তবে রান্নাঘর শেষ হয়ে যাওয়ার পর জি বাংলার পর্দায় আর দেখা যায়নি কোন রান্নার শো। তবে দর্শকদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জি বাংলার পর্দায় ২ বছর পর শুরু হল নতুন রান্নার রিয়ালিটি শো যার নাম রন্ধনে বন্ধন।
অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী এবং ঋদ্ধিমা ঘোষের পরিচালনায় এই সপ্তাহেই শুরু হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টের সময় সম্প্রচারিত হচ্ছে এই শোটি। যদিও এই শোটির পদ্ধতি রান্নাঘরের থেকে একেবারেই আলাদা। এই শোতে থাকবে দুটি দল এবং প্রতিটি টিমে থাকছেন দুজন। যাদের মধ্যে রান্না নিয়ে হবে সেরার লড়াই। সর্বশেষে বিচারকদের নির্বাচনে বেছে নেওয়া হবে সেরা রাঁধুনিকে। এবার শোতে এসে তারা জানান তাদের প্রথম রান্না করার অভিজ্ঞতা।
View this post on Instagram
রন্ধনে বন্ধনে এসে নিজের রান্নার অভিজ্ঞতা জানিয়ে কি বললেন ঋদ্ধিমা
সম্প্রতি জি বাংলার পর্দায় শেয়ার করা হয়েছে একটি ভিডিও ক্লিপ। সেখানেই অভিনেত্রী জানান রান্না করার প্রথম অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানিয়েছেন “প্রথমবার মাছ ভাজতে গিয়ে খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি গরম তেলে খুব ভয় পাই। তো আমি প্রথমবার যখন মাছ ভাজতে গেছিলাম তখন গৌরবকে বলেছিলাম একটু দাঁড়িও যদি পুড়ে যাই…।”
এরপর অভিনেত্রী ঘটনাটি আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলেছেন “প্রথমে কড়াই বসালাম। তেল গরম হল। নুন হলুদ মাখিয়ে মাছ ম্যারিনেট করে রেখেছি। কিন্তু যখন ভাজতে যাই তখন রীতিমতো মাছের পিস নিয়ে কড়াইতে ছুঁড়ে মেরেছিলাম। আর তাতে তেল আরও বেশি ছিটকে এসেছিল।” অভিনেত্রীর কথা শুনে হেসে ফেলেন সকলে।
আরও পড়ুন: স্রোতের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে সার্থক! স্রোতও কম যায় না!সার্থককে দেখে অদ্ভুত কান্ড ঘটালো সে! মিঠিঝোরা মিস করবেন না
পোস্টটি দেখে কি বলেছেন নেটিজেনরা
স্ত্রীর কথা শুনে হেসে ফেলেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীও। তিনি বলেন “সে দেখার মতো ও পারলে একটা লাঠি দিয়ে আর কি মাছ ওল্টায়।” পোস্টটি দেখে নিজেদের হাসি থামিয়ে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও। একজন ব্যক্তি লিখেছেন প্রথম মাছ ভাজা- একটা সবচেয়ে বড় ডান্ডিওয়ালা হাতার আগায় মাছ নিয়ে কোন মতে কড়াইয়ে দিয়েই ছুটে রান্নাঘর থেকে পালিয়েছি। এই মন্তব্যগুলো পড়ে আরেকজন লিখেছেন “আমিই কি প্রথম যে কখনই রান্না করতে ভয় পায়নি।”