গত ১৫ জুলাই সোহিনী সরকার (Sohini) এবং শোভন তাদের নতুন জীবন শুরু করেছেন। এবার প্রাক্তন প্রেমিক রণজয়কে নিয়ে সোহিনীর বক্তব্যে টলিপাড়া তোলপাড়। প্রায় দুই বছর আগে সোহিনী এবং রণজয়ের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ে। মাস কয়েক পরেই সোহিনীর জীবনে শোভনের আগমন ঘটে। এক বছর না পেরোতেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এক সময় সোহিনী (Sohini) রণজয়ের সঙ্গে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কোন ঘটনায় তাদের সম্পর্ক ভেঙে গেল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সোহিনী এবং শোভনের সম্পর্ক নিয়ে রণজয় বরাবরই খোলামেলা। তিনি বলেছিলেন, ‘সোহিনী যেখানেই থাকুক, যার সঙ্গেই থাকুক, ও যেন সব সময় সুখী থাকে।’ কিন্তু সত্যিই কি তিনি সোহিনীর সুখ কামনা করেছিলেন?
সোহিনীর (Sohini) বিয়ের পর সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার ফেসবুক পোস্টে টলিপাড়ায় আলোড়ন পড়ে যায়। যেখানে তিনি প্রাক্তন প্রেমিক থেকে সাবধান থাকার বার্তা দেন। সেই পোস্টে সোহিনীর ‘লাভ-রিঅ্যাক্ট’ অনেক কিছুই স্পষ্ট করেছিল। রণজয় এরপর সায়ন্তনীকে সংবাদমাধ্যমে আক্রমণ করেন। তখনই সোহিনী প্রাক্তন প্রেমিক সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
অনেকের অজানা, দশ বছর আগে রণজয়ের সঙ্গে সায়ন্তনীর সম্পর্ক ছিল। সাক্ষাৎকারে সোহিনী সরাসরি রণজয়কে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ উপরে উঠলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবে, এটা স্বাভাবিক। সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যাটা হল যখন রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষ ভাল চাই দেখানোর নামে সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভাল চাইলে সেটা ব্যক্তিগতভাবে জানাবে।’ বিয়ের পর রণজয়ের তরফে মিডিয়া মারফত শুভেচ্ছা বার্তা এলেও ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা পাননি সোহিনী (Sohini)। তাই সোহিনীর কাছে পুরোটাই ‘লোক দেখানো’ মনে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সায়ন্তনী-রণজয়ের প্রেমের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। সায়ন্তনীর ফেসবুক পোস্টে যা লেখা ছিল, সেগুলো সোহিনী অস্বীকার করতে পারবেন না কারণ তিনিও একই ঘটনার শিকার। প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল নামের আরও এক প্রাক্তনের কথাও উল্লেখ করেন সোহিনী। প্রিয়াঙ্কাও সায়ন্তনীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সুধা ডির্ভোসী, ত্বরিতার কারসাজিতে জেনে গেল বাড়ির সকলে, তেজ কী দাঁড়াবে সুধার পাশে?
সোহিনী (Sohini) বলেন, ‘চার বছরের সম্পর্ক ছিল রণজয়-প্রিয়াঙ্কার’। রণজয়ের প্রাক্তনদের সবার কথাই কি মিথ্যে? প্রশ্ন তুলেছেন সোহিনী। শোভনের সঙ্গে বিয়ে করার পর সোহিনী অনেক ট্রোলের মুখে পড়েছেন। অনেকেই বলেছেন, শোভনের জন্য রণজয়কে ঠকিয়েছেন তিনি। সোহিনী প্রশ্ন রাখেন, ‘ধরা যাক আপনার প্রেমিক কিছু করেন না, দুই বছর ধরে তিনি বসে আছেন। আপনি তখন তাঁর পাশে আছেন এই ভেবে যে নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে। কিন্তু ছেলেটি চাকরি পেলেই কেন ব্রেক-আপ হল?’ সোহিনী জানান, ২০২০ সালে রণজয়ের হাতে কাজ ছিল না। ২০২১ সালেও কাজ ছিল না। ২০২২ সালে ‘গুড্ডি’ নামের সিরিয়াল হাতে আসে রণজয়ের। তিনি বলেন, ‘হয়তো শিগগিরি বিয়েও করতাম আমরা, রণজয় কাজ পেয়েছে, আমার হাতে কাজ রয়েছে, কোনও অসুবিধেই আর নেই… তবু ব্রেক-আপটা হল।’ রণজয় সিরিয়াল পাওয়ার পরেই কেন সমস্যার সূত্রপাত হল, সেই প্রশ্ন সোহিনী বলেন, ‘সম্পর্ক ভাঙতে কেউই চায় না, পরিস্থিতি বাধ্য করে।’