“মা কালী নিজেই কিছু পরেন না, উনি আমাকে বলেননি পুজোর সময় সরু ফিতের ব্লাউজ পড়া যাবে না! মায়ের কাছে যে যা খুশি পরেই পুজো দিতে পারে” ব্লাউজ বিতর্কে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সোমাশ্রী ভট্টাচার্য!

বিনোদন জগৎ প্রায় সময়ই কটাক্ষ ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে পোশাক নির্বাচন পর্যন্ত নানা বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মুখোমুখি হন। বিশেষ করে পুজোর মতো উৎসবের সময়, যখন সবাইকে সুন্দর ও প্রথাগতভাবে সাজতে দেখা যায়, তখন সাধারণ মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে ছোটখাট বিষয়গুলোও বড় বিতর্কে পরিণত হয়।

এই বিতর্কের নতুন কেন্দ্রে এবার উঠেছেন টেলিপাড়ার অভিনেত্রী সোমাশ্রী। তিনি কেবল একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীই নন, বরং নিজের স্বতন্ত্র স্টাইল ও মতামতের জন্যও সুপরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় এই অভিনেত্রী কখনো সরাসরি, কখনো ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের অবস্থান প্রকাশ করেন। তার এই স্বতন্ত্র স্বভাবই মাঝে মাঝে তাঁকে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।

সাম্প্রতিক কালীপুজোর রাতে সোমাশ্রীকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ছবিতে তিনি সরু ফিতের ব্লাউজ় পরা অবস্থায় ধরা পড়েছিলেন, যা নিয়ে কয়েকজন মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘অন্তর্বাস পরতে ভুলে গেছেন’’ এবং ‘‘পুজোর দিনে ঠিকঠাক পোশাক পরা উচিত’’। এই মন্তব্যগুলো প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষ তাঁর পোশাকের সমালোচনা করতে থাকেন, আবার অনেকে এটিকে নিম্নরুচি হিসেবে দেখেন।

এমন পরিস্থিতিতে সোমাশ্রী এবার মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মা কালীকে ভীষণ মানি। মা নিজেই কিছু পরেন না। মা যে রূপে আছেন, সেই রূপেই তো পুজো করি। আর আমাকে মা কালী বলেননি যে, পুজোর সময় সরু ফিতের ব্লাউজ পরা যাবে না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের পাত্তা দিতে চাই না। পোশাকের ভিত্তিতে একজন মেয়ের চরিত্র বিচার করা বন্ধ হওয়া উচিত।’’ তিনি মনে করেন, গলা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা পোশাক পরলেই কেউ ভদ্র বা শালীন হয়ে যায় না।

আরও পড়ুনঃ মৃ’ত্যুর চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র! খুশির আবহ দেওল পরিবারে

সোমাশ্রী শেষ পর্যন্ত এই বার্তা দিয়েছেন যে, ‘‘মা কালীর কাছে যে যা খুশি পরেই পুজো দিতে পারে। মা শুধু মানুষের মন দেখে।’’ তার এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, পুজোর দিনেও ব্যক্তিগত পছন্দ ও স্বাধীনতা অগ্রাধিকার পেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার কটাক্ষের মধ্যে থেকেও অভিনেত্রী নিজের অবস্থান বজায় রেখেছেন এবং ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন যে, পোশাক নিয়ে বিতর্কের চেয়ে মানুষের চিন্তা-ভাবনা আরও গুরুত্বপূর্ণ।