২২ গজের বাইরে দাদা একেবারেই অন্যরকম। দাদাগিরি নামক রিয়্যালিটি শো-এ এক অচেনা সৌরভ গাঙ্গুলির দেখা মেলে। নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু আলোচনা করেন না সৌরভ। তবে সেখানে আগত প্রতিযোগিতায় জীবনের নানা কাহিনী তুলে ধরেন তিনি। এবার ছোটপর্দার রানিমা অর্থাৎ দিতিপ্রিয়া রায়ের সামনেই নিজের এক ভয়ঙ্কর কীর্তির কথা ফাঁস করে দিলেন মহারাজ। সেই কীর্তি পড়লে আপনারাও বুঝে যাবেন মহারাজ মানুষ হিসেবে কেমন?
‘মুক্তি’ সিরিজের প্রচারে দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন দিতিপ্রিয়া, চিত্রাঙ্গদা, অর্জুন চক্রবর্তী।খেলায়-আড্ডায়-নাচে জমে ওঠে অনুষ্ঠান। এদিন দাদাকে দিতিপ্রিয়া সটান প্রশ্ন করেন যে ছোটবেলায় মায়ের হাতে কেমন জব্দ হতেন তিনি? দিতিপ্রিয়া বলেন, এখনও দু-মাস অন্তর মায়ের হাতের মার খেয়ে ঠাণ্ডা থাকতে হয় তাঁকে। আর এমন অভিজ্ঞতা ছোটবেলায় সৌরভের হয়েছে কিনা। জবাবে সৌরভ বলেন যে তখন শুধু নয়, এখনও তাঁর মা তাঁকে দরকারে ‘ঠান্ডা’ রাখেন। তবে এখন দিতিপ্রিয়ার মতো তাঁকে আর মার খেতে হয় না।
View this post on Instagram
সৌরভ একসময় ডোনার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে তাঁর বাড়ির কাঁচ ভেঙে দেন। সৌরভ তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে মিলে খেলনা বন্দুকের গুলিতে যত কাঁচ বসানো ছিল সব ভেঙে দেন একতরফা। সেইদিন সন্ধ্যে বেলায় মানালি ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। গাড়িতে বসে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগেই বাবার সামনে মহারাজের এই কীর্তির কথা ফাঁস করে দেন ডোনার বাড়ির এক বয়স্কা সদস্য। এই ঘটনা শুনে হো হো করে হেসে ওঠেন সকলেই।
আবার পড়াশোনার মামলাতেও কম ফাঁকিবাজ ছিলেন না মহারাজ। সাত সকালে কলেজে গিয়ে গাড়িতেই ঘুমিয়ে যেতেন মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে তিনি। নিজের বাছা-বাছা কুকীর্তির কাহিনী সবই জানালেন দাদা।