“যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জার!” কী এমন লজ্জাজনক ঘটনার মুখোমুখি হলেন অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়? কি ঘটিয়ে এতটা লজ্জিত হলেন তিনি?

১৪ নভেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল জয়ব্রত দাস পরিচালিত ছবি ‘দ্যা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’। রুদ্রনীল ঘোষ ও সৌরভ দাস অভিনীত এই ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ থাকলেও, মুক্তির আগে হঠাৎই এমন এক সমস্যার মুখে পড়ে টিম, যার ধাক্কায় শুধু তারিখ বদল নয়—মুক্তিই আপাতত স্থগিত। আর সেই সিদ্ধান্তেই রাগে ফেটে পড়েছেন অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়।

একটি পোস্টে তথাগত জানান, ছবির মুক্তি আটকে যাওয়া শুধুই হতাশাজনক নয়, বরং “লজ্জার ও ভয়ের” বিষয়। তিনি একটি ছবি শেয়ার করেন যেখানে লেখা—“আমাদের ছবি রিলিজ করতে পারলাম না। আমরা এখনও কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।” তার সঙ্গে অভিনেতা যুক্ত করেন, এই সিদ্ধান্তকে তিনি দেখছেন একেবারে ধ্বংসাত্মক, যা ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থাকে আরও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তথাগত উদাহরণ দেন তাঁর প্রথম এক ঘণ্টার ছবি ‘ইউনিকর্ন’-এর। সীমিত বাজেট, বন্ধুরা মিলে শুটিং—তবু সেই ছবি তৈরি হয়েছিল ভালোবাসা ও আত্মবিশ্বাসে। একইভাবে তিনি উল্লেখ করেন রিমা দাসের ‘ভিলেজ রকস্টার’, এবং আরও কিছু স্বাধীন চলচ্চিত্র—যেগুলো একা তৈরি হলেও শুধু মুক্তিই পায়নি, বরং কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও সম্মান অর্জন করেছে।

তার অভিযোগ, আজকের দিনে প্রযোজক বা বিনিয়োগ না থাকলেই ছবি আটকে দেওয়া হচ্ছে, যা শিল্পের স্বভাবের সঙ্গে যায় না। সিনেমা কোনও কারখানার পণ্য নয়—এটি সৃজনশীল মাধ্যম। নিয়ম-নীতি দিয়ে শিল্পকে বেঁধে রাখলে সৃষ্টিশীলতা ধ্বংস হয়। তথাগত মনে করেন, প্রযোজকের অভাব থাকলেও একজন পরিচালকের নিজের ভাষা ও ভাবনার সিনেমা তৈরির অধিকার থাকা উচিত।

আরও পড়ুনঃ ইন্ডিয়ান আইডল মঞ্চ থেকে সরাসরি বিধানসভায়! দেশের সর্বকনিষ্ঠ জেন জি বিধায়ক মৈথিলি ঠাকুরে চমকে গেল বিহার! মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী মোদীও!

তাঁর বক্তব্য আরও তীব্র হয়ে ওঠে শেষে। তিনি বলেন, ফেসবুকের পোস্ট বা সাক্সেস পার্টির আড়ালের বাইরে যারা কাজ করেন, তারা জানেন বাংলা সিনেমার বর্তমান দুর্দশার কথা। “বাংলা সিনেমা ঘটিয়া”—এই কঠিন সত্য স্বীকার করার সাহস যাঁরা রাখেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। একইসঙ্গে ছবির কলাকুশলীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন—একজন পরিচালক হিসেবে কিছু করতে না পারার জন্য তিনি লজ্জিত।