বিনোদন জগতে আজকালকার দিনে বিশেষত অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই রয়েছেন যারা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। আর রাজনীতিতে যোগ দেওয়া মাত্রই অনেকে যেমন হারিয়েছেন নিজের অনুরাগী আবার কেউ পেয়েছেন অজস্র মানুষের ভালোবাসা।
বিগত কয়েক বছরে মূলত বাংলার রাজনীতিতে শতাব্দী রায় থেকে শুরু করে দেব, গানের জগতের সৌমিত্র রায় আরও অনেকেই নাম লিখিয়েছেন রাজনীতির জগতে। ছোটো পর্দা হোক কিংবা বড়ো পর্দার অনেক শিল্পীরাই যেমন রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তেমনই আবার অনেকে দল বদলির কারণে তাঁদের কপালে জুটেছে নিন্দা।
তবে, বর্তমানে বেশ কয়েকদিন ধরে টলি পাড়ায় শোনা যাচ্ছে আগামী বিধানসভার নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে লড়বেন অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু এবং ঋত্বিকা সেন। প্রসঙ্গত, মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা এবং ঋত্বিকা বরাবরই শাসকদলের ঘনিষ্ঠ। এমনকি, যেকোনো উৎসব-অনুষ্ঠানে এই দুই উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
বিধানসভার আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে শহরের এক সংবাদ মাধ্যমকে মনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছে অভিনেতা ভিভান চক্রবর্তী। নাম না নিয়ে অভিনেতা বলেন, “একদল আছেন, যাঁরা দলের দুঃসময়ে নেই। ভাল সময় এলেই চলে আসেন, আখের গুছিয়ে নেন”।
আরও পড়ুনঃ মান্ডবীর পরাজয়ে, চিত্রার রোষ! কর্তাদাদুর সিদ্ধান্তে রেগে আগুন অগ্নি! ‘কথা’তে এবার কোন নতুন ঝড়ের ইঙ্গিত?
ভিভানের নিশানায় কি রয়েছে এই দুই অভিনেত্রী? অভিনেতা আগেই জানিয়েছেন এই ঘটনা সত্যি কিনা তাঁর জানা নেই। অভিনেতার কথায়, “ঘটনা সত্যি হলে বলার কিছু নেই। মিথ্যা হলেও বলব, এ রকম কিছু মানুষ টলিউডের অন্দরেই আছেন। যাঁরা দলের ভাল সময়ে আসেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন। নিজের কাজ হাসিল হলে আর তাঁদের দেখা যায় না”। এমনকি, তিনি আরও বলেন, “আমি এবং আমার মতো অনেকে আছেন, যাঁরা অভিনয়ের পাশাপাশি দলের সমস্ত কাজে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ২০২১ সাল থেকে নাগাড়ে সব সময় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আছি। খেয়াল করে দেখেছি, সুসময়ে আমাদের ডাক পড়ে না”।
এই বিষয় নিয়ে সৌমিতৃষাকে ফোন করা হলেও তাঁকে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে, অভিনেত্রী ঋত্বিকা এই বিষয়ে বলেছেন, “এমনও দিন গিয়েছে, দলের ৪০টি প্রচারে টানা অংশ নিয়েছি। এ ছাড়া, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যখন ডেকেছেন তখনই সাড়া দিয়েছি। ফলে, সেই জায়গা থেকে এই ধরনের ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে”। ঋত্বিকা রাজনীতিতে আসছে কিনা? জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেন, “রাজনীতি বুঝি না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার মতো বয়সও আমার হয়নি। তার পরেও কোনও দিন সুযোগ এলে অবশ্যই বিবেচনা করব”। ইদানীং অভিনেত্রী রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছেন, তবুও তাঁর নামে কেন এমন খবর ছড়িয়েছেন, তা তিনি নিজেও জানেন না।