কুম্ভ নিয়ে বাড়াবাড়ি, বাড়ির কাছে গঙ্গাসাগরে যাচ্ছে না কেন? গ্ল্যামার নেই বলে! সবার হেমা মালিনী হওয়ার ইচ্ছে, কটাক্ষ সুদীপার

এখন সারা মাস জুড়ে চলছে কুম্ভ স্নানযাত্রা। সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) খুললেই দেখা যাচ্ছে কেউ না কেউ যাচ্ছে প্রয়াগরাজে পুণ্য অর্জন করতে। কোটি কোটি মানুষ ডুব দিচ্ছে গঙ্গা সাগরে। কিন্তু, এই সবকিছু নিয়ে খানিক আপত্তি জানালেন টেলি জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ তথা সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chattopadhyay)

এই মেলায় কখনো কখনো ভীড়ের মাত্রা এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে বিপদের সম্মুখীন হত হচ্ছে স্নানযাত্রীদের। কিছুদিন আগে বেশ কিছু মানুষ পদপিস্ট হয়ে মারা পর্যন্ত গেছেন। তবে, থেমে থাকেনি মহাকুম্ভের মেলা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মানুষেরা এসে স্নান করছে প্রয়াগরাজে। তবে, এই মেলাতে যেতে পারেননি বলে কিছুটা আক্ষেপ দেখিয়েছেন সুদীপা। বরং তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে লিখলেন, “কুম্ভ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি, কিন্তু ঘরের কাছে গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন না কেন?”

গত সোমবার সমাজ মাধ্যমে লিখলেন, “ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমার আশপাশের প্রায় সবাই মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে দিলেন, তাঁদের তো সবারই মোক্ষলাভ হয়ে যাবে। ভূত হয়ে একা একা বাঁচব কী করে? মগডালে পা ঝুলিয়ে আড্ডা হবে না?” তবে, নিজে যে খুব পুণ্য স্নান করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তেমনটাও নয়।

আরও পরুনঃ শেষ হচ্ছে না নিম ফুল! হঠাৎ গল্প বদল, রুবেল-পল্লবী ছাড়াই চলবে জি বাংলার হিট ধারাবাহিক

শহরের এক সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার কুম্ভে যেতে ইচ্ছে করে না। কারণে ধর্মীয় উন্মাদনা পছন্দ নয়। ‘ঈশ্বরভক্তি’টা বড্ড ব্যক্তিগত। সেখানে এত চিৎকার, ভিড়, ধাকাধাক্কি তার মধ্যে ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ আমার পক্ষে সম্ভব নয়”। সুদীপা ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে বলেন, “ছোটবেলায় কখনও প্রয়াগরাজের কথা সে ভাবে শুনিনি, বরাবর গঙ্গাসাগরের কথা শুনেছি। আসলে সবটাই হুজুগ। সবাই করছে, আমাকেও করতে হবে। না হলে জীবন বৃথা। আচ্ছা যাঁরা কুম্ভ যাচ্ছেন তাঁরা গঙ্গাসাগর যাচ্ছেন না কেন? সেখানে এতটা দেখনদারি নেই, গ্ল্যামার নেই! আসলে কুম্ভে ভিআইপি পাস নিয়ে, ইয়ট ভাড়া করে, ফাঁকা গঙ্গায় গিয়ে ছবি তুলে দেখানোর মধ্যে এটা বুঝিয়ে দেওয়া যে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয়”।

এইসব বিষয় নিয়ে সুদীপা খানিক ব্যঙ্গ করে বলে, “লোকে আসলে বোঝাতে চাইছেন আমার আর হেমা মালিনীর মধ্যে কোনও ফারাক নেই। ব্যক্তিগত জীবনে গুরুত্ব কম পাচ্ছেন, তাই বাইরে দুনিয়ার গুরুত্ব পাওয়ার আশায় এ সব করছেন”। এত সব কিছু বলার পরেও সুদীপার মনে করেন তাঁর এই বক্তব্য পেশ করার জন্যও কটাক্ষের শিকার হতে হবে।