বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় একটা নতুন নাম লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার। যারা এই ধারাবাহিক নিয়মিত দেখে তারা বেশ ভালোবাসে ধারাবাহিকের গল্প। কারণ এই ধরনের গল্প বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার এসেছে। আর সেটা সাদরে গ্রহণ করেছে বাঙালি দর্শক।
একজন সম্পূর্ণ বাঙালি গৃহবধূ কি করে বাড়ি এবং সংসার সামলেও বাইরের কাজ সামলান সেটাই তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে। লক্ষ্মী কাকিমার একটা মুদির দোকান রয়েছে। সেটাই চালান তিনি নিজের হাতে। আর এটা নিয়েই পুরো গল্প।
সেখানে লক্ষ্মী কাকিমার ছেলের বউ হিসেবে এসেছে হংসিনী। আর তার বাবা হলেন এই ধারাবাহিকের মূল ভিলেন। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন ভরত কল। তিনি অহরহ চক্রান্ত করতে থাকেন কীভাবে ভেঙে ফেলা যায় সেই দোকান।
এবার সেই জায়গায় তিনি নতুন এক খবর শোনালেন। দোকান ভেঙে নিজের দোকান খুললেন। না না, ভয় পাবেন না একটা স্কুল খুললেন মানুষের কল্যাণে। ভিলেন হলেও আসলে তিনি প্রকৃত মানুষ।
নতুন ছেলেমেয়েদের ভরসা হয়ে উঠলেন এই অভিনেতা। ছেলেমেয়েদের একেবারে হাতেকলমে কাজ শেখানোর প্রাতিষ্ঠানিক স্কুল খুললেন ভরত কল। নাম রাখা হয়েছে ‘ভরত কল ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস’।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান তিনি যখন প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন সেই সময় কোন তালিম ছিলনা অভিনয় সম্পর্কে। তাই অভিজ্ঞ তারকাদের সান্নিধ্যে থেকে কাজ শিখেছেন তিনি। এমন একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাইছেন যেখানে ছেলেমেয়েরা শুধু কাজ শিখবে না, পাশাপাশি মন খারাপ হলে বারবার ছুটে আসবে সেখানে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সার্বিক গ্রুমিং, অভিনয় সবটাই শেখানো হবে হাতে ধরে। সপ্তর্ষি রায়, অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, সোহাগ সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, তপস্যা দাশগুপ্ত, প্রশান্তরা রয়েছেন মেন্টর পদে। এই বছরই পুজোর ঠিক পরে ১০ অক্টোবর খুলছে স্কুল। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত ক্লাস চলবে যেখানে শুরুতে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী ক্লাসে আসতে পারবে।
View this post on Instagram
এর থেকেও বড় কথা হল অভিনেতা ভরত কল নিজের একটি বিশেষ ক্লাস নেবেন যার নাম রেখেছেন ‘ফাইটিং দ্য অডস’। তিনি জন্মগত সূত্রে নিজে কাশ্মীরি পণ্ডিত হওয়ায় বাংলাটা ঠিকমত পড়তে বা লিখতে পারেন না এখনও। তাঁর মতো এমন অনেকেই রয়েছে যারা ভাষা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। নিজের দুর্বলতাকে কীভাবে শক্তি করে তুলতে হয়, সেটাই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পাঠ দেবেন ভরত।