বেশ খোশ মেজাজে রয়েছেন তিনি। বলা যায় সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাচ্ছেন। শুধু জন্মদিনটা এলে মনে হয়, আবার এক বছর এগিয়ে গেলেন, বয়স বাড়ল। এমনই লিখেছেন বিশিষ্ট টলিউড অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। জন্মদিনের দিন এবার তাঁর বিশেষ পদ কলাইয়ের ডাল আর আলু পোস্ত।
একটা সময় লাগাতার ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। দশকের মনে নিজের সম্পর্কে এমন প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করেছিলেন যে তখন যে কোন বাংলা ছবি বেরোলেই দর্শক মনে করত ভিলেন হিসেবে অবশ্যই বিপ্লবকে দেখা যাবে। সেই ভিলেন এখন অনেকটাই শান্ত। বলেন জন্মদিনে এলে চ্যানেলকে ডেকে হইচই করেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও কেউ আসে না। কারণ তিনি লোকদেখানো ব্যাপারটা পছন্দ করেন না।
একটা সময় সোনালী দিন ছিল এই অভিনেতার। কিন্তু তখনও বাংলা চ্যানেলকে ডেকে নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলেননি তিনি। আর এখন তো পুজোর আলপনা আঁকতেও চ্যানেলকে ডাকে সবাই এমনটাই দাবি করলেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। ছোটবেলায় তার মা হাতে গোনা কিছু বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে ডাকতেন। মাংস রান্না হত।
তবে টলিউডে বিশেষ করে কেউ তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন এমনটা হয়নি। উৎসব হয়নি, লোক দেখানো উদযাপনেও ছিলেন না তিনি। একেবারে ঘরোয়া প্রকৃতির মানুষ। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে একচেটিয়া ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি বেশ কিছু ভালো চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আর কিছু করতে ইচ্ছা করে না তাঁর?
উত্তরে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বললেন খুব ইচ্ছে করে এখনো। নাটকের চিত্রনাট্য লিখছেন। সেটা এক চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা জানিয়ে দেয় শিক্ষামূলক কিছু দেখানো হবে না। তাই প্রযোজক না পেলে কাজও করতে পারবেন না অভিনেতা। অথচ ধারাবাহিকগুলিতে মা মেয়েকে বিচ্ছেদের পরামর্শ দিচ্ছে। সেটা চুপচাপ তিনি দেখেন আর ভাবেন আর কত উচ্ছন্নে যাবে সমাজ?
সোনালী দিনগুলোর মানুষগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছেন। সদ্য চিরকালের জন্যে চলে গেলেন তরুণ মজুমদার। এক এক সময় বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের মনে হয় তাঁরই বা বেঁচে থেকে লাভ কী? কারণ বেঁচে থাকলেই বসে বসে অবক্ষয় দেখতে হবে।