আটত্রিশটা কেমো চলার পর, হাতের আর কোনও শিরা বাকি নেই! কঠিন জীবনযুদ্ধ জয়ের গল্প শোনালেন অভিনেতা চন্দন সেন

মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন তিনি। তীব্র যন্ত্রনা সহ্য করেও লড়াই করে চলেছেন প্রতিটা দিন। অভিনেতা চন্দন সেন (Chandan Sen) যেন দৃষ্টান্ত। এই জীবনীশক্তির উৎস কী? উত্তরে অভিনেতা বলেন,”আমার তো কোনও অপশন নেই। যতদিন আছি, সকলের নানা দাবি আছে। আজ কিছু করার ইচ্ছে থাকলে করে যেতে চাই।”

মারণ রোগকে জয় করেছেন অনেক অভিনেতা। তবে অভিনেতার গল্পটাই আলাদা। কেমন আছেন? জানতে চাইলে উত্তরে অকপট বলেন, ‘কর্মক্ষম’। কর্মই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। অভিনয়ের জন্য গাফিলতি করেছেন চিকিৎসাকেও। হাজারো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অভিনয়ের সঙ্গে একচুল আপোস করেননি এই দাপুটে অভিনেতা।

Bengali actor

যদিও চরম দুর্দিনে ইন্ডাস্ট্রিকে পাশে পেয়েছিলেন অভিনেতা। সহকর্মীরা আর্থিক সাহায্য থেকে শুরু করে, টানা সাতদিন নাটকের শো করে জোগাড় করেছিলেন তাঁর বিপুল চিকিৎসার টাকা। অভিনেতা চান তাঁর দুর্দিনে যে মানুষগুলো পাশে থেকেছে, তাঁদের সঙ্গে করেই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে।।

সাক্ষাৎকারের ফাঁকে নিজের ভয়াবহ চিকিৎসা কথা বললেন অভিনেতা। চন্দন সেন জানান, তাঁর অসুস্থতার সময়ে চারজন মানুষকে পাশে পেয়েছেন। তবে এমন অনেক মানুষকে নিজের চোখে দেখেছেন যারা কেমো নেওয়ার সময় একা হাসপাতালে এসেছে। নিজেকে অনেক ‘প্রিভিলেজ’ মনে হয়েছিল সেদিন।

আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়িতে পা দিয়েই রুদ্রমূর্তি সুধার! ইমনের মাথায় বাড়ি মেরে আচ্ছা করে শায়েস্তা করল সে!

ক্যান্সারের দরুন কণ্ঠনালী নষ্ট যাওয়ার অবস্থা চলে এসেছিল। রেডিওথেরাপি চলাকালীন কণ্ঠনালীর উপর চাপ পড়ার আশঙ্কা ছিল। অভিনেতা চিকিৎসকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, শেষ কতদিন সময় আছে তাঁর কাছে? চিকিৎসকরা দীর্ঘ অধ্যাবসায় দরুন সক্ষম ভাবে রেডিওথেরাপি করেছিলেন অভিনেতার। জীবনের সেই পঁচিশ মিনিট টান টান উত্তেজনায় কেটেছিল অভিনেতার।

You cannot copy content of this page