Rahul-Raj: ১৪ বছর আগে রিলিজ হওয়া চিরদিনই তুমি যে আমারে’র জন্যই রাহুলকে চিনল বাঙালি অথচ আজ পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকেই গালমন্দ করছেন রাহুল ব্যানার্জি! রাজনৈতিক পার্থক্যই কি একমাত্র কারণ?
১৪ বছর আগের হিট জুটি। সেই হিট সিনেমা হিট গান আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। দুজনেই তখন পর্দায় নতুন কিন্তু দুজনের অনস্ক্রিন প্রেম অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে সেই সময় প্রচুর প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে। হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি চিরদিনই তুমি যে আমার সিনেমাকে নিয়েই।
এই সিনেমা নিয়ে কথা উঠলেই যে অভিনেতা অভিনেত্রীর কথা উঠে তাঁরা আজকের প্রথম সারির তারকা হয়ে উঠেছেন। রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার প্রথম জুটি বেঁধেছিলেন এই সিনেমার মধ্যে দিয়েই। তারপর দুজনের অনস্ক্রিন আর অফস্ক্রিন প্রেম হিট থেকে সুপারহিট।
১৪ বছর সম্পূর্ণ করলো সিনেমা চিরদিনই তুমি যে আমার। পুরনো স্মৃতি হাতরে একটু দেখলেন অভিনেতা রাহুল। এ প্রসঙ্গে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম। স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে উঠে এলো কিছু দগদগে ঘা।
প্রিয়াঙ্কা তখন সবে ১৭ আর রাহুলের বয়স তখন ২৪। এই জুটির যেমন এটা ডেবিউ সিনেমা তেমনই পরিচালক হিসেবে টলিউডের ডেভিউ করেছিলেন রাজ চক্রবর্তী। এখনো কি সেই ১৪ বছর আগেই ফিরে যাওয়া সম্ভব? অভিনেতা রাহুল ব্যানার্জি জানালেন অনেক কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে।
অভিনেতা এবং অভিনেত্রী দুজনেই তখন বাচ্চা এবং নতুন নতুন প্রেমে পড়েছেন এই সিনেমার পরেই। তাই এই সিনেমার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক চিরকালীন থেকে যাবে। এই ছবি মুক্তির পর সেই সময় হাজার খানেক জুটি পালিয়ে বিয়ে করে। এক কথায় রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা তখন বাড়ির অমতে পালিয়ে বিয়ে করার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন।
এমন কিছু ভালো স্মৃতির মাঝেও কিছু অভিমান ক্ষোভ জমা বেঁধে আছে নায়কের মনে। আর সেটা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে।খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করতে চান না। আসলে দুজনের কারুর সঙ্গেই কারুর আর সম্পর্ক ভালো নেই।
এর কারণ হিসেবে রাহুল জানিয়েছেন নবাগত অভিনেতা হিসেবে অভিজ্ঞতা খুব খারাপ হয়েছিল। ছবি মুক্তির একমাসের মধ্যে রাহুলকে নিয়ে নাকি অকথা কুকথা শুনিয়েছিলেন রাজ। প্রিয়াঙ্কাকেও নাকি ছেড়ে কথা বলেননি পরিচালক।
আরো একটা অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। জানিয়েছেন প্রেম আমার রাহুলের জন্যই লেখা হয়েছিল কিন্তু পরে রাজ সেখান থেকে রাহুলকে বাদ দিয়ে দেন। সেই জায়গায় আসেন সোহম চক্রবর্তী। আর এখানেই রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে আনলেন রাহুল। বললেন প্রেম আমার করলে বড়জোর তিনি তৃণমূল বিধায়ক হতে পারতেন। কিন্তু সেটা তিনি কোনদিনই চাননি।
আসলে রাজ এবং রাহুল রাজনীতির দিক থেকে ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী। একজন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং আরেকজন চরম বামপন্থী। সেটাই কি এখন দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে দুজনের মাঝে?