খেলার মাঠে নয়, শৈশব কেটেছে শ্মশানে! বন্ধুর হাত ধরে সারি সারি মৃতদেহ দেখে কী মনে হত রজতাভর? জানুন অভিনেতার জীবনের এক অজানা গল্প
আজ ৮ই মে, মঙ্গলবার। টলিউডের (Tollywood) জনপ্রিয় খল-অভিনেতা রজতাভ দত্তর (Rajatava Dutta) জন্মদিন। বরাবরই অভিনয়ের দাপটে বাঙালি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়ে থাকেন। পর্দায় যে কোনও চরিত্র উপস্থাপননের জন্য নিজের একশ শতাংশ উজার করে থাকেন তিনি। রুপোলি পর্দায় তাঁকে কখনও দেখা গিয়েছে সাদামাটা ক্লার্কের চরিত্রে, কখনও আবার খলনায়ক লুকে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন তিনি।
ছবিতে অভিনেতা রজতাভ দত্ত থাকা মানে দর্শকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। কেরিয়ারের শেষ লগ্নে এসে জীবনে নিয়ে যতটা সন্তুষ্ট অভিনেতা, শুরুতে তেমনটা ছিল না। বরং কেটেছে কঠিন অধ্যাবসায়ের মধ্যে। যার সিংহভাগ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেননি অভিনেতা। সম্প্রতি রজতাভ দত্তের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতার জীবনে ঘটা এমনই এক ঘটনা সম্পর্কে মুখ খোলেন।
ছোটবেলা নিয়ে বিস্ফোরক দাবী রজতাভ দত্তের। কী বলছেন অভিনেতা?
অভিনেতার কথায়, ভাল খারাপ মিলিয়ে কেটেছে ছোটবেলা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান। পিতৃবিয়োগ মাথার ছাদটুকু চলে যাওয়া সমান। কীভাবে সামলালেন সবটা? অভিনেতার কথায়, “ওই পরিস্থিতিতে দুটো ব্যাপার হতে পারত। প্রথম দারিদ্র্যতা দেখছি। ওই ঘটনার কিছুদিন পরেই আমার পাড়ায়, যেখানে আমি গান শিখতাম, সেখানে এক বন্ধু ছিল রূপক চক্রবর্তী, তারও বাবা মারা যায়। এবং আমরা বলতে থাকি আমরা বাবা হারা ক্লাবের সদস্য।”
অভিনেতার আরও সংযোজন, “আমরা দুজনে মিলে প্রচুর কেওড়াতলা শ্মশানে গিয়ে বসে থাকতাম। কত যে বডি ঢুকছে। অত শোকের উদ্যাপন হচ্ছে, তার মাঝখানে থাকতে কোথাও যেন একটা কমফোর্ট জোন তৈরি হতো, এই কষ্টটার মধ্যে আমি একা নই। এটা এর আগেও বহুবার হয়েছে। এর পরেও হবে এবং বিভিন্নভাবে একটা জাগতিক সুঁতো কোথাও কেটে যায়।”
আরও পড়ুন: শুরুর আগেই সমস্যায় প্রতীকের উড়ান! আসন্ন ধারাবাহিকের অনুরাগীদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ
রজতাভ আরও বলেন, ”সেই সময়টা থেকে আমার মনে হয়, আমরা যে প্রত্যেকেই মনে করি পৃথিবী আমায় কেন্দ্র করে ঘুরছে। আমি না থাকলে সব থেমে যাবে। একটা পাতাও এদিক ওদিক হবে না। সেই বোধটা তৈরি হয়ে যায় আজীবনের জন্যে। ফলে আর কোনও শোকই পরবর্তীতে নাড়া দেয়নি। কেবল শোক নয়, কোনও সাফল্যও নাড়া দেয় না।”