রূপঙ্কর বাগচীর পর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় উঠে এসেছেন টলিউড অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এর মুখ্য কারণ হলো সিনেমা মুক্তি পাওয়ার মাত্র ৫ দিন আগে সেই সিনেমা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা হু হু করে ভাইরাল হতে থাকে।
‘চিনে বাদাম’ ছবির প্রচার থেকে সরে দাঁড়াতেই যশের বিরুদ্ধে প্রথম আক্রমণ করেছিলেন প্রযোজক রানা সরকার। তারপর সোমবার অভিনেতার একটি বিশেষ বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই আবার কটাক্ষ শুরু হলো তাঁকে নিয়ে। ফেসবুকে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক জানিয়েছিলেন ঝাঁ চকচকে সিনেমা তিনি বানাতে পারেন না। নিজের মতো করে গল্প বলেন। তাই তথাকথিত নায়কসুলভ কোনও বিষয় থাকে না ছবিতে। এই নিয়ে আপত্তি করেছিলেন যশ দাশগুপ্ত। তিনি নাকি প্রশ্ন করেছিলেন গানের দৃশ্যে কেন ‘কালো ছেলে’ থাকবে?
যশ দাশগুপ্ত এমন কথা সত্যি কি বলেছিলেন? সেটা জানা যায়নি। তবে নায়কের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে ছবির প্রযোজক-নায়িকা এনা সাহা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনিও নাকি পরিচালকের থেকে এমন কিছু কথাই শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে যশ তাঁর বক্তব্য রাখবেন। ছবি-মুক্তির আর কয়েকটা দিন থাকায় গোটা টিম চাইছে ইতিবাচক কিছু হোক।
মঙ্গলবার যশের এই বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এবং জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুজয়প্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন যে ছবির একটি দৃশ্যে ‘কালো লোক’কে ব্যবহার করায় নাকি যশ প্রচারে যাননি। এই আচরণ কী সৃজনমূলক সমস্যা হতে পারে? দাবি করেছেন যশের বিরুদ্ধেও নেটিজেনরা রূপঙ্কর বাগচীর মতোই পদক্ষেপ নেবে। এই কারণে বিনোদন দুনিয়া সবাইকে একজোট হতে বলেছেন তিনি।
এদিকে এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা জয়জিৎ জানিয়েছেন অভিনেতারা পরিচালককেই জাহাজের ক্যাপ্টেন বলে মনে করেন। ছবিকে তিনি নিজের সন্তানের চোখেই দেখেন। অভিনেতারা বড়জোর পরিচালকদেরকে পরামর্শ দিতে পারেন।
পরিচালক সেই পরামর্শ না নিলে শেষ মুহূর্তে ছবির প্রচার থেকে বেরিয়ে আসবেন অভিনেতা এই পদক্ষেপ মানতে পারছেন না তিনি। তাই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন যশ নেই, প্রতিপত্তি নেই। তাঁর আবার কালো ছেলে নিয়ে সমস্যা।