টলিউডের দীর্ঘদিন কাজের সুবাদে তিনি এক প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করার সুবাদে তিনি পরিচিত খলনায়িকা হিসেবেই। তিনি হলেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা।
তবে এখন কার মতো তখনকার দিনে কাজ শেখার প্রক্রিয়াটা এতটা মসৃণ ছিল না। এ প্রসঙ্গে নায়িকা নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেছেন এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে। গত মে মাসে পর পর অভিনেত্রী এবং মডেলের মৃত্যুর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে টলিপাড়ায়। সেখান থেকেই এখন টলিউডের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
শুরু হয়েছে বিশেষ ওয়ার্কশপ। রাজের মহিলা কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্টুডিওয়ে গিয়ে ওয়ার্কশপ করানো হবে। এই নিরিখে সম্প্রতি দাসানি স্টুডিওতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে অন্যান্য কলাকুশলীদের মত হাজির ছিলেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। নিজের অনেক পুরনো হতাশার বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি।
অনামিকা বললেন এখন নানাভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় অভিনয়ের বিষয়ে। কেউ আসছে অডিশন দিচ্ছে কেউ পেয়ে যাচ্ছে আর কেউ পারছে না। কিন্তু আগে এমনটা হতো না। সবকিছু দেখে শিখেছেন তারকারা। বড় শিল্পীদের কাজ দেখার জন্য ভিড় জমে যেত। পরিচালকের পায়ে পড়ে জায়গা চাইতে হতো যাতে একটু শেখা যায়। এরপরই একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন অভিনেত্রী।
নায়িকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার পর তাঁর বাবা তাঁকে সোনার ব্যান্ড দেওয়া ঘড়ি কিনে দিয়েছিলেন। ফেরারী ফৌজ নাটকে অভিনেত্রী মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেই ঘড়ি পরে নাটকের রিহার্সাল দিতে গিয়েছিলেন অনামিকা। হঠাৎ করে হাত থেকে খুলে পড়ে যায় সংলাপ বলার সময়। নায়িকা সংলাপ থামিয়ে সেই ঘড়ি তুলতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানের মুখোপাধ্যায় দৌড়ে এসে বলেছিলেন একটা থাপ্পড় মারব। অভিনয় করার সময় কোন দিকে খেয়াল রাখা যাবে না।
নায়িকা তখন বলেছিলেন আসলে ঘড়িটা বাবার দেওয়া। এই কথা শুনে জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায় ঘড়িটা ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন সোফার মধ্যে। ঠিক এমন পরিবেশের মধ্যেই অভিনয় সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করেছেন অভিনেত্রীরা। এখন নানা স্কুল তৈরি হচ্ছে। কিন্তু নিজে থেকে চেষ্টা না করলে কিছুই শেখা যাবে না এমনই দাবি করলেন অভিনেত্রী।