মধ্য কলকাতার ১৩৫ বছরের পুরনো বাড়িতেই বড় হয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তুতো দাদা বোনেদের নিয়েই কেটেছে ছোটবেলা। এখন তিনি একজন মা। তাই শুটিংয়ের ফাঁকে মেয়েকে সামলান তাঁর বোনেরাই। স্বামী পেশায় সাংবাদিক। ফলে সারাদিন দু’জনেই ব্যস্ত। তবুও কর্মজীবন এবং ব্যক্তিজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি আসছে তার নতুন সিরিয়াল। তবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে গড়ে তোলা এতটাও সহজ ছিল না। সেই অভিজ্ঞতাই এবার শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। এতক্ষন যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। মা হওয়ার পর আগের থেকে অনেকবেশি দায়িত্ববান হয়েছেন তিনি। বাচ্চা মানুষ করার জন্য খুব ধৈর্যশীল হতে হয়। যেটা তিনি একদমই নন, বলে জানান তিনি। তাই মাঝেমাঝে ১১ মাসের মেয়েকে বকুনি দিয়েও ফেলি। তবে এখন তিনি কাজের পাশাপাশি সংসারও চালাচ্ছেন।
তিনি জানান, তিনি জীবনে খুব বেশি এখনও ধারাবাহিক করেননি। কারণ তিনি বেছে কাজ করতেই পছন্দ করেন। তিনটে সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাসবদত্তা। একটা সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর নিজেকে কিছুটা সময় দিয়ে তারপর অন্য ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ম্যাচ না করায় কাজটি করতে পারলেন না।
কিছু জায়গায় সুযোগ পেয়েও তিনি কাজটি করেননি। কারণ হিসাবে তিনি জানান, হাঁটুর উপরে পোশাক পড়তে তাঁর তেমন সমস্যা নেই। তবে দৃশ্য নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তিনি জানান, ‘উড়োজাহাজ’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তাঁকে ডাকেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। গিয়ে কোথাও বলেছিলেন তিনি।
কিন্তু সেখানেও একটি দৃশ্য ছিল, যেটা শুনে তিনি সেই দৃশ্যে অভিনয় করতে পারবেন না বলে জানান। এমন আরও একটি কাজ এসেছিল, যেখানে একটি ‘লিপলক’-এর দৃশ্য ছিল। তাই সেটাও না তিনি না করেদেন। সুতরাগ, অভিনেত্রী হলেও অভিনয়ের সাথে তিনি তাঁর নিজস্ব কিছু নীতি নিয়ে চলেন, যা তাঁর কথায় স্পষ্ট বোঝা গেল।