বাংলা টেলিভিশনের ভীষণ রকম প্রিয় দম্পতি জুটি হচ্ছে রাজা-মধুবনী। একটা সময় স্টার জলসার পর্দা মাতিয়েছিল জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ভালোবাসা ডট কম।’ আর এই ধারাবাহিকেই জুটি বেঁধে ছিল ওম-তোরা। অর্থাৎ রাজা-মধুবনী।
প্রসঙ্গত, জলসার পর্দায় সন্ধ্যাবেলায় সম্প্রচারিত হত এই ধারাবাহিক। ওম এবং তোরার দুষ্টু-মিষ্টি ভালোবাসার কাহিনী অচিরেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিল। উল্লেখ্য, বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি হচ্ছে রাজা ও মধুবনী গোস্বামী। ওই ধারাবাহিক থেকেই তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত। ধীরে ধীরে তাঁদের রিল লাইফের প্রেম পরিণত হয় রিয়েল লাইফে পরিণত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চার হাত এক হয় রাজা, মধুবনীর। তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের, সাজানো। আজ থেকে দু’বছর আগে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী থেকে পুত্র সন্তান কেশবের মা-বাবা হন তাঁরা। সন্তান জন্মের পর রাজা কাজে ফিরলেও মধুবনী ধ্যান জ্ঞান শুধুই ছেলে কেশব। যদিও দুজনে একই সঙ্গে ভ্লগিং করেন এবং একটি বিউটি পার্লারও রয়েছে মধুবনীর।
এরই পাশাপাশি ধর্মেকর্মেও দারুণ মন এই অভিনেত্রীর। জানেন তাঁদের পুত্র কেশব আসার আগে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালে লকডাউনের মধ্যেই পরিবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
আগে কখনও গোপাল পুজো না করলেও সেই বছরই প্রথমবারের মতো গোপাল পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন মধুবনী। বলা যায় একরকম আদেশ পেয়েছিলেন তিনি। তবে কোনও ধাতুর নয়। মাটির মূর্তি পুজোর আদেশ পান তিনি। সম্পূর্ণ নীলাভ রং। হাতে মাখনের হাঁড়ি।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি মালা, মিষ্টি দিয়ে ঠাকুরের পুজো করলেও কখনই হাত জোড় করে কিছু চাননি। বরং গোপালকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “হয় তুমি আমার কাছে এসো, আর না হয় তুমি রাধারানীকে পাঠাও। নয়তো আমি তোমাকে খেতেও দেবোনা, মুখও দেখব না।”
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনার ১০ দিনের মধ্যেই কেশব আসার খবর পান মধুবনী। উল্লেখ্য, তাঁরা আগেই থেকেই স্থিরও করেছিলেন যে ছেলে হলে নাম রাখবেন কৃষ্ণের নামে। আর মেয়ে হলে রাধা। এরপর পরিবারের সকলের পছন্দে রাখা হয় কেশব নামটা। উল্লেখ্য, অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁর ছেলেকে দেখতে অনেকটা তাঁর বাড়ির গোপালের মতোই।
