Riya Ganguly: ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব পেয়েও কেড়ে নেওয়া হলো কাজ! কেন? বিস্ফোরক এই জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী, টলিপাড়ার নোংরা দিক আবার এল সামনে

এই নায়িকা বর্তমান সময়ে টেলিভিশনের এক জনপ্রিয় মুখ। বহু ধারাবাহিকে বহু চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছেন দর্শকদের। কিন্তু এখন খুব একটা পর্দায় দেখা যাচ্ছে না এই নায়িকাকে।

এই নায়িকা হলেন রিয়া গাঙ্গুলী চক্রবর্তী। সিঁদুর খেলা, মীরা, কিরণমালা, ক্ষীরের পুতুল, ভুতু, বরণ এমন অনেক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এই মুহূর্তে হাতে কাজ নেই। পাশাপাশি মন ভালো নেই। অভিনেত্রী ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে বেশ কিছু জায়গায় তিনি উল্লেখ করেছেন তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

এর পাশাপাশি নায়িকার রয়েছে বিশেষ কিছু অভিযোগ এই ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে। সেগুলি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রিয়া। কী বললেন জানেন?

নায়িকা বলেন শিল্পীদের জীবনে অনেক উত্থান পতন থাকে। বারোটা বছর টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। অনেক কিছু শিখেছেন তিনি ইন্ডাস্ট্রি থেকে এবং ইন্ডাস্ট্রি অনেক কিছু দিয়েছে নায়িকাকে। আবার খারাপ জিনিসও দেখেছেন এবং শিক্ষা নিয়েছেন। কাজ থাকা বা না থাকা এটা ইন্ডাস্ট্রিরই একটা অংশ।

তবে অন্যায় ভাবে কাজ না থাকা এটার বিরোধিতা করেছেন রিয়া গাঙ্গুলী চক্রবর্তী। তিনি ছোট থেকে এমন শিক্ষা পাননি। তাই অন্যায় ভাবে কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর কাজ চলে যাওয়া বা কাজ কেড়ে নেওয়া এটাকে তিনি একেবারেই সমর্থন করেন না।

তবে দুর্ভাগ্যবশত নায়িকার সঙ্গে এমনটা ঘটেছে। তিনি এই দুরাচারের শিকার হয়েছেন। তবে নায়িকা এটাও বলেছেন যে কিছু কিছু সত্যি মুখ ফুটে বলতে গেলে অনেকগুলো মানুষকে টেনে আনতে হয়। তার মধ্যে অনেকেই কথা নায়িকার জীবনের খুব খারাপ সময়ে তাঁর পাশে ছিল। তাই এমনটা তিনি হয়তো করতে পারবেন না।

কিন্তু রিয়া এটাও পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে এমন নয় যে কোন কিছু পাওয়ার লোভে বা হারানোর ভয়ে এমনটা করছেন তিনি। তাই তিনি দীর্ঘদিন ধরে সময় নিয়েছেন এবং ভেবেছেন নিজের মন এবং মাথা সংযত করা দরকার তাঁর। কারণ তিনি আর এখন শুধু অভিনেত্রী নন পাশাপাশি দুই সন্তানের মা হয়েছেন।

এরপর এই নায়িকা অভিযোগ করলেন যে একটি কাজের প্রস্তাব পাওয়ার পরেও সেই কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল নায়িকাকে। একসময় নায়িকাকে ভুলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল তাঁর কাজের জায়গায়। তারপরে নায়িকাকে ফোন করে সেই কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি আজ অবধি বুঝতে পারেননি এতে তাঁর কী দোষ ছিল।