সেই সময় তাঁর ক্লাস টেন। ডান্স বাংলা ডান্স থেকে সোজা অভিনয়ের সুযোগ। আর এখন শ্বেতা ভট্টাচার্য বিশেষভাবে পরিচিত যমুনা ঢাকির যমুনা হিসেবে। জীবনের এতগুলো বছরের অভিজ্ঞতা কিরকম? দিদি নাম্বার ওয়ান শোয়ে এসে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন তিনি।
অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন তাঁর বাবার সাথে। সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জির সামনে তিনি তুলে ধরলেন জীবন কাহিনী। নায়িকার কাছে নাচ তাঁর প্রাণ। তবে কোনো দিনই তিনি ভাবেননি অভিনয় আসবেন। শুরুর দিনগুলো কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি।
একটি ছোট্ট ঘরে দাদা এবং বাবা-মার সাথে একসাথে থাকতেন শ্বেতা। বলেন “মাঝেমধ্যে এমনও হয়েছে সকাল বেলা নুন দিয়ে ভাতটা খেয়ে ফেললাম। কিন্তু রাত্রে কী খাব সেটা ঠিক নেই”। আসলে বড়লোকদের বাথরুম যেরকম হয় নায়িকার ঘর ছিল সেরকম।
নায়িকা বলেন কথায় আছে বড় হয়ে মা বাবাকে দেখবে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন তিনি মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর মা-বাবার জন্য তিনি জীবনটা দিয়ে যেতে চান। তাঁর বাবা তাঁর জন্য ওয়ার্ল্ড তাঁর ভগবান। বাবাকে কোনোদিন তিনি পুজোতে একটা শার্ট বা জিনিস কিনতে দেখেননি রিপু করে পড়তেন।
মাও কোনোদিন শাড়ি কেনেননি। তাঁর যদি কিছু পছন্দ হত তাহলে সেটা ঠিক কিনে দিত। মা বাবার জন্মদিন কবে সেটাও জানে না। কোনোদিন পালনই হয়নি।” অভিনেত্রীর বাবার ভাষায়, “ঝড়ঝাপটা গেছে। কঠিন পরিস্থিতিও অতিক্রম করতে হয়েছে। তার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে এসেছি। এখন রাস্তায় বেড়োলে সবাই বলে ওই দেখ ঝুমকোর বাবা যাচ্ছে। মেয়ের পরিচয়েই তো বাবার পরিচয়। বিরাট পাওনা।”