স্বামীর একের পর এক সম্পর্কে বিধ্বস্ত! মেয়ের সামনেই মারধর! অবশেষে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে অভিনেত্রী স্বর্ণকমল দত্ত

টেলিপাড়ার এক জনপ্রিয় মুখ স্বর্ণকমল দত্ত। পর্দায় একের পর এক চরিত্রে দর্শকের মন জয় করলেও, পর্দার বাইরে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন রীতিমতো ঝড়ে কাঁপছে। বছর পনেরোর দাম্পত্যে এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে হল তাঁকে, যা এতদিন হয়তো ভাবনারও বাইরে ছিল। জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেরিয়ে এবার নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী।

স্বর্ণকমল দত্তের স্বামীর নাম সুদীপ্ত ঘটক। মাত্র দেড় মাসের আলাপেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু অভিনেত্রীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। একাধিক নারীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক, শারীরিক নির্যাতন, মানসিক অবহেলা— সব মিলিয়ে দাম্পত্য যেন রূপ নেয় বিষাদে। তাঁর দাবি, “বিয়ের পর থেকে মারধর সহ্য করছি। নোংরা ভাষায় কথা বলা, অশালীন আচরণ— কিছুই বাদ ছিল না।”

২০২৫-এর জানুয়ারি মাসে আবারও এক নতুন নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান স্বর্ণকমলের স্বামী। অভিনেত্রীর কথায়, সে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই কন্যাসন্তানের সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। নবম শ্রেণিতে পড়া মেয়েটি নিজেই মাকে অনুরোধ করে এই অশান্ত পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। স্বর্ণকমলের অভিযোগ, শাশুড়িও তাঁকে পাঁচ মাসের মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তা-ও তিনি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বহু বছর ধরে একই ছাদের নীচে থাকলেও স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক বলতে কিছুই ছিল না। “গত ছ’মাস আমি কথা বলার অবস্থাতেও ছিলাম না। মানসিক ভাবে এতটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম,” বলেন স্বর্ণকমল। তাঁর আরও অভিযোগ, স্বামী কোনও রকম আর্থিক সাহায্যও করতেন না। সংসারের যাবতীয় খরচ, মেয়ের পড়াশোনা— সব সামলাতে হয়েছে তাঁর বাবাকে।

আরও পড়ুনঃ সত্য প্রকাশের আগেই মেয়ের মুখ চেপে ধরল সোহিনী! মামলা নিয়ে বুবলাই-বর্ষার আপত্তি, সম্পত্তি নিয়ে গর্জে উঠল কমলিনী! কমলিনীর উপর এখনও দুর্বল নতুন! ডলকে বিয়ে না করার শর্তেই পাশে থাকবে সে?

এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আবার অভিনয়ে ফিরেছেন স্বর্ণকমল। বর্তমানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে, যেখানে তিনি ‘সতীন’ সোহিনীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে পর্দার চরিত্রটিও— প্রতারণা, বঞ্চনা আর মেয়েকে ঘিরে অস্তিত্বের লড়াই। স্বর্ণকমল বলেন, “এই পরিস্থিতিতে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কাজের সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞ। নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চাই। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই এগিয়ে চলেছি।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।