ধারাবাহিকের অনেক সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যা দর্শকদের মন ছুয়ে যায় এবং বাস্তব জীবনের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে। এই ধরনের গল্প দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং কখনো কখনো তা তাদের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা আনতে সক্ষম হয়। টেলিভিশনের (Television) পর্দায় যখন বাস্তব জীবনের প্রতিবাদের সুর শোনা যায়, তখন তা দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এবং তারা তা নিজের জীবনেও উপলব্ধি করতে শুরু করেন।
সম্প্রতি ‘রোশনাই’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য দর্শকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যেখানে উষসী চরিত্রটি পুলিশের কাছে তার মেয়ের জন্য ‘জাস্টিস’ দাবি করছেন। তিনি বলেন, “মা হিসেবে আমি আমার মেয়ের জন্য জাস্টিস চাইছি। যদি আমার মেয়েকে জাস্টিস না দিতে পারি, তা হলে তার সামনে কীভাবে মুখ দেখাব?” এই সংলাপটি যতটা নাটকীয়, ততটাই আবেগপূর্ণ, যা দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে।
‘রোশনাই’-এর কাহিনীতে, নায়িকার বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘটে একটি অঘটন। গরিমার শাড়িতে আগুন ধরে গিয়ে সে আহত হয়ে পড়ে, অথচ রোশনাই ছিল তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু ঘটনাটি ভুলভাবে দোষারোপ করা হয় রোশনাইয়ের ওপর। গল্পের মধ্যে পর্দার খলনায়িকা সুরঙ্গমা—যিনি নিজের মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত—তবে বাস্তবে তার দোষ মিথ্যা। এই ধরনের এক নাটকীয়তার মধ্যেই ‘জাস্টিস’ দাবি করা হচ্ছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মিশে যায়।
এদিকে, বাস্তব জীবনে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের মৃত্যু এবং তার পরবর্তী আন্দোলনও সারা শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ৯ আগস্ট ২০২৪ থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে ‘জাস্টিস’ শব্দটি বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। একাধিক মিছিল এবং প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী উষসী চক্রবর্তীও এই দাবির প্রতি নিজের সমর্থন জানাচ্ছেন। টেলিভিশনের পর্দায় এই একই দাবি শোনা যাচ্ছে, যা দর্শকদের মধ্যে অবাক কৌতূহল তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ মদ খেয়ে বেসামাল উষসী রায়! মদ্যপান করে রাস্তায় ঘুরলেন গৃহপ্রবেশের নায়িকা
এভাবে, টেলিভিশনের কাহিনির সঙ্গে বাস্তব জীবনের আন্দোলনের সুর মিলিয়ে একটি নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে। ‘জাস্টিস’ শব্দের এই মেলবন্ধন শুধু দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, বরং এটি বাস্তব জীবনের সামাজিক পরিবর্তনেও বড় ভূমিকা রাখার আশাবাদী হয়ে উঠেছে।