চলতি বছরের মে মাস থেকে টলিউডে কী হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। গত ১৫ই মে আত্মহত্যা করলেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে। তারপর থেকে যেন টলিউডে মৃত্যু-মিছিল লেগে রয়েছে। পরপর আরো দুই মডেল-অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেন। একটা আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে টলিউডের। ফের জানা গেল টলিউডের আরেক জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী কাল রাতে সুইসাইডের চেষ্টা করেছেন ঘুমের ওষুধ খেয়ে বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে।
এই অভিনেত্রীকে আমরা বেশ কিছু তথ্যচিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি এবং তিনি মডেলিংও করতেন। একটি জনপ্রিয় থিয়েটার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত তিনি এবং থিয়েটারের কাজে নিজেকে নিয়মিত যুক্ত রাখতেন। গতকাল রাতে ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট দেন সেখানে লেখেন গুডবাই এবং আরো কয়েকটি কথা তিনি লিখেছিলেন। তারপরে একটি সুইসাইড নোট হাতে নিয়ে পোস্ট করেছিলেন যদিও সেটা পরে ডিলিট করে দেওয়া হয়। এই অভিনেত্রীর নাম দেবলীনা দে। তার বাড়ি কালনায়।
এই বিষয়ে সেই ভাবে কেউই জানতেন না। তার পরিচিত বন্ধু বান্ধবীরা আছে ফোন করে সুইচড অফ পেয়েছে। আজ ভোরবেলা জনপ্রিয় ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা দেবলীনার এই পোস্টটি দেখতে পান এবং এই নিয়ে তিনি লাইভ ভিডিও করেন। সকলের কাছে তিনি সাহায্য প্রার্থনা করেন। তিনি মেয়েটিকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেন। অনেকেই কালনা থানার ফোন করে তার কারণ দেবলীনার বাড়ি কালনায়। এছাড়া কলকাতা পুলিশের কাছেও খবর যায়।
সকলে মিলে তাকে যখন উদ্ধার করে তিনি ততক্ষণে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছেন এবং তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। 24 ঘন্টা না গেলে কিছু বোঝা যাবেনা বলছেন চিকিৎসকরা।তবে এখানে কোনো প্রেম ঘটিত ব্যাপার আপাতত নেই বলে জানা গেছে তার কারণ সুইসাইড নোট এবং ফেসবুক পোস্টে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন নিজের পরিবারকে বিশেষ করে নিজের মাকে।তিনি জানিয়েছেন যে তার ভাই একজন ড্রাগ এডিক্ট এবং তাকে ড্রাগ নিয়ে এসে মারধর করতো এবং উল্টোপাল্টা অশ্লীল কথাবার্তা বলত। ড্রাগ কেনার জন্য ভাইকে টাকা দিত মা। তাই তিনি আর পারছেন না। সুইসাইড করতে বাধ্য হচ্ছেন।