“বড় ডিরেক্টরের ফ্লোরে সব শেখা যায় না, খারাপ ডিরেক্টরের কাছেই মেলে সত্যিকারের পাঠ”— অকপটে জানালেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য! কেন হঠাৎ করে এমন মন্তব্য করলেন অভিনেতা?

বাংলা বিনোদন জগত আজ এক বহুমাত্রিক শিল্পের ক্ষেত্র। টেলিভিশন থেকে শুরু করে সিনেমা—প্রতিটি মাধ্যমেই এখন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নিজেদের সেরাটা তুলে ধরার প্রতিযোগিতায় নামছেন। বড় বাজেটের সিনেমা, জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ বা টেলিভিশন সিরিয়াল—সব ক্ষেত্রেই আজ কাজের পরিধি বেড়েছে। কিন্তু এই জগতের ভিতরে কাজ শেখার সুযোগ কি শুধুই বড় নামকরা পরিচালকদের কাছেই মেলে?

অনেকের ধারণা, বড় কোনও প্রোডাকশন হাউস বা বিখ্যাত ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ মানেই উন্নত অভিজ্ঞতা। তারা মনে করেন, বড় নাম মানে মানসম্পন্ন কাজ, নিখুঁত টেকনিক আর পেশাদার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ। তবে শিল্পের এই দিকটির পেছনে থাকা বাস্তবতা অনেক সময় অন্যরকমও হতে পারে। অনেক অভিজ্ঞ অভিনেতাই জানিয়েছেন, শুধুমাত্র নাম নয়, শেখার সুযোগটা নির্ভর করে পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর।

বাংলা অভিনয় জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ অম্বরীশ ভট্টাচার্য। মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করে ২০০৭ সালে ‘রাজা এবং গজা’ ছবিতে ‘গজা’ চরিত্রের মাধ্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর ‘ধুলোকণা’ ও ‘রোশনাই’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্স তাঁকে দর্শকদের আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অম্বরীশ জানিয়েছেন, “একজন খারাপ ডিরেক্টারের কাছ থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়।” তাঁর মতে, বড় নামকরা পরিচালকের সেটে সবকিছু এতটাই অর্গানাইজড থাকে যে শেখার মতো অপ্রত্যাশিত কিছু পাওয়া যায় না। কিন্তু ছোট বা কম অভিজ্ঞ পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলে নানা চ্যালেঞ্জ আসে, যা অভিনেতাকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়।

আরও পড়ুনঃ “গাল টিপলেই চ’ড় মারতে ইচ্ছে করত…ভিভানের সঙ্গে কাজ করতে খুব বিরক্ত লাগে, একেবারেই পছন্দ না!”— ঐশীর কটাক্ষে সরগরম সমাজ মাধ্যম! বাস্তবেও কি বুবলাই ভিভান একই রকম! ‘চিরসখা’-র বুবলাইকে কেন পছন্দ করে না মিঠি?

অম্বরীশের এই বক্তব্য যেন এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে—শেখা মানে শুধুই সুযোগ নয়, বরং অভিজ্ঞতার পরিধি। তিনি বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিটি কাজের মধ্যেই শিক্ষা লুকিয়ে থাকে, যদি তা গ্রহণ করার মন থাকে। বড় হোক বা ছোট, প্রতিটি সেটই একেকটা স্কুল, যেখানে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখা যায়।

You cannot copy content of this page