টলিউডের অন্যতম বিখ্যাত অভিনেত্রী হলেন অনামিকা সাহা। নায়িকা হতে চাননি কোনদিন। তাই ওজন বাড়িয়ে বাংলা সিনেমাগুলিতে মা বা শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করে গেছেন সারা জীবন। ছবির থেকেও বেশ অবাক করার মত একটি তথ্য উঠে এলো এক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।
অভিষেক চট্টোপাধ্য়ায় ৫৮ বছর বয়সে মারা গেলেন। আর অনামিকার এখন বয়স ৬৩ বছর। তবুও নায়কের মায়ের ভূমিকায় অনেক অভিনয় করেছেন তিনি। তারপরেই ইন্ডাস্ট্রির বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে একটি মজার কথা জানান। বলেন যে শুটিং এর খাতিরে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু শুটিং শেষ হয়ে গেল গালে থাপ্পড় মারতেন। আসলে সবাই বন্ধু ছিলেন তখন। ৩-৪ বছরের ব্যবধান ছিল অনামিকার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য অভিনেতাদের। এদিকে তাপস পাল আবার অভিনেত্রীর থেকে এক বছরের বড় ছিলেন।
২৯ বছর বয়স থেকে মোটাসোটা হয়ে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন অনামিকা। এদিকে নায়িকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তখন রেডিওতে কাজ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল কারণ তাঁর গলা সুন্দর তাদের মতে। তখন রেডিয়োতে ৫,০০০-এরও বেশি নাটক করেছেন অনামিকা সাহা। মেয়ে হওয়ার পর সেই কাজ আর ভালো লাগতো না নায়িকার। তখন শ্বশুরের কাছে আবেদন করলেন সিনেমায় কাজ করতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু শ্বশুরমশাই বলে দিয়েছিলেন এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না তাঁরা দেখতে পারবেন না। তাই আর ঝুঁকি নিতে চাননি অভিনেত্রী। মা-মাসি-ঠাকুরমা-দিদিমার চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন তিনি। অভিনয়কে তিনি এত ভালোবাসতেন যে অভিনয় করতে পারার জন্য যেকোনো বলিদান দিতে প্রস্তুত ছিলেন নায়িকা।