বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়, আর ব্যক্তিগত জীবনের ব্যস্ততাকে সমান ভারসাম্যে রেখে তাল মিলিয়ে চলছেন। সময়নিষ্ঠা, কাজের প্রতি শ্রদ্ধা আর সহজ সরল জীবনযাপন—এই তিনটি জিনিসেই তৈরি হয়েছে তাঁর আলাদা পরিচিতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অকপটে জানিয়েছেন নিজের জীবনদর্শন, রাগ, সম্পর্ক ও বদলে যাওয়া ইন্ডাস্ট্রির কথা।
অভিনেত্রীর সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি, “আমি ইগনোর করতে ভালোবাসি, কিন্তু ইনডিসিপ্লিন থাকলে ভীষণ রাগ হয়।” অঞ্জনার মতে, এখনকার পৃথিবীতে আগের দিনের আন্তরিকতা নেই, সবকিছুই অনেক বেশি বাহুল্যপূর্ণ হয়ে গেছে। পুরনো দিনের মানুষ ও কাজের পরিবেশকে ভীষণ মিস করেন তিনি। তাঁর কথায়, “পুরনো ইন্ডাস্ট্রি, পুরনো মানুষদের সঙ্গে কাজ করার দিনগুলো অন্যরকম ছিল, এখন যেন একটু দূরত্ব তৈরি হয়েছে।”
অঞ্জনা বসু সবসময়ই বিশ্বাস করেন কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা একজন শিল্পীর আসল সম্পদ। তাঁর নিজের ভাষায়, “আমি যে কাজ করি, সেটার প্রতি দায়িত্বই আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ।” অভিনেত্রী জানান, সঠিক কাজের জন্য কখনও তাড়াহুড়ো বা সহজ পথ বেছে নেননি। নিজের প্রতি ও নিজের কাজের প্রতি শ্রদ্ধাই তাঁকে আজও টিকিয়ে রেখেছে দর্শকের ভালোবাসায়।
তবে নিজের স্পষ্ট ভাষাতাঁকে যেমন পরিচিত করেছে, তেমনই জীবনে এনে দিয়েছে নানা বিপদও। অভিনেত্রী অকপটে বলেন, “এই জন্যেই তো বিপদে পড়ি! মুখ উপর কথা বলা মানুষ আমি। ভালো না লাগলে বলে ফেলি।” আগে একদমই আটকাতেন না, এখন নাকি একটু ভেবেচিন্তে কথা বলি। এরপর অভিনেত্রী জানায়, “আমি ভুল দেখলে চুপ করে থাকতে পারি না, বলতেই হয়।”
নিজের জীবনের ক্ষতির তালিকা করতে গিয়ে অঞ্জনা বলেন, “স্পষ্ট করে বলার জন্য অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু আমি নিজেকে পাল্টাতে পারিনি, কারণ মিথ্যে বলতে পারি না।” তাঁর কথায়, সততা কখনও কখনও ক্ষতির কারণ হলেও সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় গর্ব।
আরও পড়ুনঃ অ্যাকশন দৃশ্য করতে গিয়ে দুর্ঘ’টনা, শুটিং ফ্লোরে গুরুতর আহত অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত! এখন কেমন আছেন তিনি?
অভিনয়ের বাইরে তাঁর জীবন অত্যন্ত সাধারণ। বাড়িতে তিনি একেবারে গৃহিণী, সেটে গিয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেন কাজে। বলেন, “আমার জীবনে কোনও রহস্য নেই, আমি শুধু ডিসিপ্লিনড জীবন যাপন করি, এটাই হয়তো আমার রহস্য।” সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ফলোয়ারের ওপর ভিত্তি করে কাস্টিং হওয়া তাঁকে অবাক করে। শেষ কথায় জানান, “ঝড় এলেই আমি সমুদ্রের মতো শান্ত হয়ে যাই, তখন জানি আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।”






“আগে মা-বাবারা গল্প পড়ে শোনাতেন, এখন বাচ্চারা বিরক্ত করলেই মোবাইল ধরিয়ে দেয়!” “বাচ্চারা চুপ করলেও জ্ঞানের বিকাশ কি হয়?”— বর্তমান প্রজন্মের অভিভাবকদের সংবেদনশীলতা নিয়ে খোঁচা শ্রীকান্ত আচার্যের! প্রজন্মের বদলে যাওয়া শিক্ষার ধরণেও কি খেদ পড়ছে?