‘মেয়েদের পরিবার অনেক উদার… বিবাহবিচ্ছিন্ন সন্তান সহ পুরুষকে মেনে নেয়, কিন্তু নারীকে পক্ষপাতের শিকার হতে হয়!’, অকপট অভিনেত্রী অনুরাধা মুখোপাধ্যায়! বাস্তবে কি তিনি কারও দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চাইবেন?

অর্জুন দত্তের নতুন ছবি ‘ডিপ ফ্রিজ’-এ আবীর চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে অভিনয় করছেন অনুরাধা মুখোপাধ্যায়। ছবিতে তিনি আবীরের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথমবার এই জুটিকে দেখতে পাওয়া যাবে বড়পর্দায়। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম অনুরাধাকে প্রশ্ন করেছিল, তিনি কি আবীরের প্রথম নায়িকা হতে চাইতেন? অনুরাধা হেসে বলেন, ছবির গল্প অনুযায়ী তাঁর দ্বিতীয় হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। বাস্তবে কি তিনি কারও দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চাইবেন? অনুরাধার উত্তর, পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন, তবে প্রথম হওয়ার কথাই মাথায় আসে সবার আগে।

এই প্রসঙ্গে অনুরাধা বলেন, মেয়েদের পরিবার সাধারণত অনেক উদার হয়। তাঁরা বিবাহবিচ্ছিন্ন পুরুষকে মেনে নেন সহজেই, এমনকি তাঁর সন্তান থাকলেও। কিন্তু একজন বিবাহবিচ্ছিন্ন নারীকে পাত্রপক্ষ এত সহজে মানতে চায় না। সন্তান থাকলে তো আরও কঠিন। অনুরাধার মতে, দ্বিতীয় বিয়ের পর একজন বিবাহবিচ্ছিন্ন নারীর সুখী হওয়া খুবই কম দেখা যায়।

২১ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘ডিপ ফ্রিজ’। ছবি জাতীয় সম্মান পেয়েছে বলে আগ্রহ অনেক। এই সম্মান তাঁর কেরিয়ারে কতটা কাজে লাগবে জানতে চাওয়া হলে অনুরাধা বলেন, দক্ষিণ ভারতে হলে নিশ্চিন্তে বলতে পারতেন, এর বড় উপকার হবে। কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে জাতীয় পুরস্কারের মূল্য ঠিক কতটা, সেই নিয়েই তাঁর সন্দেহ। তিনি মনে করেন, এখানে এই ধরনের সম্মানের আলাদা প্রভাব তেমন পড়ে না।

ছবিতে রয়েছে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও। আবীরকে নিয়ে টলি নায়িকাদের বিশেষ পছন্দের কথা সকলেই জানেন। এই নিয়ে মজা করে অনুরাধাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আবীরের গালের কাটা দাগ কি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে উৎসাহ জুগিয়েছে? অনুরাধা হেসে বলেন, আবীর খুব ভদ্র, সংযত, রসিক এবং বুদ্ধিমান মানুষ। এমন একজন পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই সবার পছন্দের তালিকায় ওঠেন। ফলে গালের দাগ দেখার প্রয়োজনই হয়নি। এই প্রথম টলিউডের প্রথম সারির নায়কের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত ছিলেন।

আরও পড়ুনঃ “আমি তাকে একমাত্র বন্ধু ভাবলেও, সে আমার মতো আরও ১০ জনকে বন্ধু ভেবেছে!”, ‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’-এর ঐশ্বর্যা চরিত্রে জনপ্রিয় হওয়া অভিনেত্রী নবনীতা মালাকারের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি! কার উদ্দেশ্যে এই তীব্র তিক্ত অভিযোগ অভিনেত্রীর?

অনুরাধা বড়পর্দায় অন্য ধাঁচের ছবির অভিনেত্রী হিসেবেই পরিচিত। তাঁকে দেখা গেছে ‘নীহারিকা’, ‘সোয়েটার’, ‘গুলদস্তা’র মতো ছবিতে। বাণিজ্যিক ছবিতে তাঁকে কম দেখা যায় কেন জানতে চাইলে তিনি কোয়েল মল্লিকের একটি কথার উদাহরণ দেন। আলিয়া ভট্ট যেমন হালকা এবং সিরিয়াস দুই ধরনের ছবিতেই অভিনয় করেন, তেমনি বাংলায় অভিনেত্রীরাও সব ধারার ছবিতে কেন দেখা যাবে না? অনুরাধার মতে, তিনি সব ধরনের ছবিতেই স্বচ্ছন্দ এবং প্রয়োজনে ‘মশালা’ ছবিতেও অভিনয় করতে পারেন। তবে দর্শকের পছন্দ বদলে যাওয়ায় এ ধরনের ছবি আর আগের মতো হয় না। তিনি তাই নায়িকা নয়, অভিনেত্রী বলা হোক— এটাই চান।