টেলিভিশন ও সিনেমার ব্যস্ত জগতে থেকেও একে অপরের জন্য সময় বের করে নেন তাঁরা। ২০১১ সালে অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। গ্ল্যামার দুনিয়ার এই দম্পতি কিন্তু বরাবরই আলাদা পথে চলেন— বিলাসিতা বা আড়ম্বর নয়, তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল একে অপরের সঙ্গ, হাসি-ঠাট্টা আর ঘরোয়া মুহূর্তের উষ্ণতা।
সম্প্রতি আনন্দবাজার সোশ্যাল-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিজের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে অকপটভাবে কথা বলেছেন অপরাজিতা। অভিনেত্রীর কথায়, “স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পরেও আমরা ভীষণ ভালো বন্ধু। আমাদের সম্পর্কের শুরুই হয়েছিল বন্ধুত্ব দিয়ে। মাঝে বিয়ে হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই বন্ধুত্বের বন্ধন আজও অটুট।” তাঁর মতে, একে অপরের সঙ্গে থাকা তাঁদের কাছে কোনো দায় নয়, বরং একান্ত আনন্দের।
অপরাজিতা আরও বলেন, “একজন মানুষের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকা সত্ত্বেও আবার সেই মানুষটার সঙ্গেই থাকতে ইচ্ছে করে— এটাই আমাদের সম্পর্কের বিশেষত্ব।” তিনি মনে করেন, একে অপরের প্রতি এই টানটাই তাঁদের সম্পর্ককে করে তুলেছে এত মজবুত ও বাস্তব।
মনোমালিন্য নিয়েও খোলাখুলি বলেন অভিনেত্রী। তাঁর ভাষায়, “অন্য সব দম্পতির মতো আমাদের মধ্যেও তর্ক-বিতর্ক হয়, কিন্তু সেটাই স্বাভাবিক। তবে তার মানে এই নয় যে আমরা একে অপরের মতামতকে অসম্মান করি। বরং আমরা আলোচনা করি, তারপর একটা মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছে যাই।”
আরও পড়ুনঃ ‘বিজেপি নারীবিদ্বেষী সংগঠন, ওখানে নারীর সম্মান নেই বলেই রাজনীতি ছেড়েছি, তার শাস্তিই হয়ত এখনও ভুগছি!’— রাজনীতি ছেড়ে আজও কাজহীন রূপা রাই ভট্টাচার্য! কাজহীনতার মাঝেও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্ফো’রক অভিনেত্রী!
এই মুহূর্তে অপরাজিতা ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে কমলিনীর চরিত্রে ব্যস্ত, অন্যদিকে ঋত্বিকের ‘রান্নাবাটি’ বড়পর্দায় দর্শকদের মন জয় করছে। ব্যস্ততার মাঝেও তাঁদের জীবনের অগ্রাধিকার একটাই— একে অপরের সঙ্গে ও তাঁদের ছেলের সঙ্গে কিছুটা নির্ভেজাল সময় কাটানো। ঠিক যেমন অপরাজিতা বলেন, “আমাদের সম্পর্কের সৌন্দর্য এই সহজাত বন্ধুত্বেই।”






