টেলিভিশনের পরিচিত মুখ ‘সুদীপা চট্টোপাধ্যায়’ (Sudipa Chatterjee) এবং তাঁর ছেলে আদিদেবের জন্য রবিবারের দিনটা যেন রীতিমতো দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল! বাড়ির গাড়ি না থাকায় সেদিন অ্যাপ ক্যাব ধরেছিলেন তারা, ভাবনাও ছিল না মাঝরাস্তায় এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। সুদীপার দাবি, গাড়িতে ওঠার পর থেকেই চালকের আচরণ অস্বাভাবিক লাগতে শুরু করে, ধীরে ধীরে তা তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিতে গড়ায়।
এমন ঘটনায় ছোট ছেলে আদিদেব খুবই ভয় পেয়েছে, যা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি সে। এই ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বন্ডেল রোডের দোকান থেকে বেরিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য মিষ্টি নেওয়ার অনুরোধ করেন সুদীপা। তাঁর কথায়, এতটাই অল্প সময় ছিল যে যাত্রী হিসেবে আলাদা কোনও স্টপ যোগ করার প্রয়োজনই পড়ার কথা না। কিন্তু চালক জোর করে আরেকটি স্টপ যোগ করার কথা বলেন।
এখান থেকেই পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে। তিনি অনুরোধ করেন চালক নিজেই কাজটা করে দিতে, কারণ এগুলি ঠিক কীভাবে অ্যাপে করতে হয় তা তিনি জানতেন না। কিন্তু কথোপকথনের এই সাধারণ অংশই তীব্র তর্কে পরিণত হয়। সুদীপা জানান, ঠিক করা রুট মনে, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাস হয়ে মা ফ্লাইওভার ধরে নিউটাউন ধরে না গিয়ে চালক গাড়ি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে শুরু করেন।
আপত্তি জানাতেই আচমকা নোং’রা ভাষায় কথা বলতে থাকেন তিনি। অভিযোগ, চালক তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেন! এমনকি গাড়ি থামিয়ে মারতে উদ্যত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনিও আত্মরক্ষার জেরে প্রতিরোধ করেন। গাড়ির ভিতরের এই বিশৃঙ্খলা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আদিদেব। এক পর্যায়ে চালকের আচরণ আরও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। সুদীপা বলেন, হঠাৎ করে ওই ব্যক্তি তাঁকে হিন্দিতে কথা বলতে বলেন, দাবি করেন তিনি বাংলা বোঝেন না।
আরও পড়ুনঃ ইনস্টাগ্রামে বায়ো পরিবর্তন, স্মৃতির সঙ্গে বিয়ে বাতিলের এক সপ্তাহ পর বিমানবন্দরে হাসিমুখে ধরা দিলেন পলাশ! পাশে কে ছিলেন সেই রহস্যময় সঙ্গী?
ভাষা নিয়ে এমন চাপ সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও বিব্রতকর হয়ে ওঠে তাঁর জন্য। মা-ছেলের এই অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা পুরো যাত্রাটাকেই ভয়ের স্মৃতিতে বদলে দিয়েছে। এই ঘটনার পর সুদীপা জানান, তিনি গাড়ির নম্বর মনে রেখেছেন এবং সোমবার অর্থাৎ আজ কড়েয়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর আশা, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।






