“ইতিহাস ফিরে আসেই…বুকের বাঁদিকটা চিনচিন করছে তো?”— রাজের স্ট্রাগল সঙ্গী তথা প্রথম স্ত্রী শতাব্দীর খোঁচা! এক যুগ পর শুভশ্রী প্রাক্তন দেবের পাশে, আর ঠিক তখনই রাজকে সমাজ মাধ্যমে বিঁধলেন শতাব্দী!

নয় বছর পর আবারও এক ফ্রেমে ধরা দিলেন দেব এবং শুভশ্রী (Dev-Shubhasree)। একসময় টলিউডের সবচেয়ে আলোচিত রোম্যান্টিক জুটি হলেও, ব্যক্তিগত জীবনে বিচ্ছেদের পর কখনও একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অথচ সময় পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা, বদলে গিয়েছে দুজনের জীবন, সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত পরিসর। এতদিন যাবৎ সম্পর্ক ছিল নিস্তব্ধ, মুখে মুখে নয়, এমনকি কোনও যোগাযোগও নাকি ছিল না। তবু ‘ধূমকেতু’র (Dhumketu) ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে এক মঞ্চে যখন দেখা মিলল তাদের, এক মুহূর্তের জন্য যেন সময় থেমে গেল—ফিরে এল পুরনো দিনগুলো।

নজরুল মঞ্চে সোমবার ছিল এক রকম আবেগের ঝড়। ট্রেলার লঞ্চ উপলক্ষে সাজানো হয়েছিল বিশেষ অনুষ্ঠানের। দেব-শুভশ্রী মঞ্চে প্রবেশ করেন একসঙ্গে, কালো রঙের রঙমেলানো পোশাকে। গানের সুরের সঙ্গে তাঁদের হাত নাড়ানো, চোখে চোখ রাখা এবং দর্শকের সঙ্গে মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া—সবকিছুতেই যেন একটা পুরনো রোম্যান্সের আবছা ছায়া খেলা করছিল। যারা একসময় প্রেম করতেন, সেই দুটি মানুষ একযুগ পর আবারও একসঙ্গে মঞ্চে দাঁড়িয়ে, একে অপরকে সম্মান জানিয়ে কাজ করছেন—এই দৃশ্য দেখে আপ্লুত দর্শক।

‘ধূমকেতু’ ছবির মুক্তি নিয়ে অনুরাগীদের উত্তেজনা তুঙ্গে। ছবিটি অনেকদিন ধরেই আটকে ছিল, এবার তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে চলতি মাসেই। তবে সিনেমার চেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে এসেছে দেব-শুভশ্রীর একসঙ্গে মঞ্চে উপস্থিতি। এসবের মধ্যে শতাব্দী মিত্রের একটি পোস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোড়ন। কে শতাব্দী? শতাব্দী মিত্র ছিলেন রাজ চক্রবর্তীর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গী। শোনা যায়, রাজের স্ট্রাগলের সময়ে পাশে ছিলেন তিনিই, যখন রাজ ছিলেন নামহীন, প্রতিষ্ঠাহীন এক তরুণ পরিচালক।

দু’জনের মধ্যে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, এবং বহু সূত্রের দাবি, তাঁরা বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাসও করেছেন। এমনকি তাঁদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে, যাঁকে নিয়ে শতাব্দী একাই লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। রাজ সাফল্যের মুখ দেখার পর ধীরে ধীরে সেই সম্পর্কে দূরত্ব আসে, এবং শেষমেশ রাজের জীবনে আসেন শুভশ্রী। এই অতীতেই আজ যেন শতাব্দীর পোস্ট নতুন করে আলো ফেলেছে। শতাব্দীর পোস্টে লেখা ছিল—”কিরে, কেমন লাগছে? আমারও ঠিক এরকমই লেগেছিল, ঠিক এইরকমই।

বুঝলি তো? ইতিহাস ফিরে আসেই… বুকের বাঁদিকটা চিনচিন করছে তো… আমারও করেছিল, ঠিক তেরো বছর আগে। আজ তুই যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, আমি অনেক আগেই হেঁটেছি সেই পথ ধরে। তোর এই বুকের বাঁদিকের চিনচিনে ব্যথা-আমারও খুব চেনা, ঠিক একই পথ ধরে।” এই লেখার মধ্যে দিয়ে যেন শতাব্দী প্রাক্তনের প্রতি রইল এক জ্বলন্ত স্মৃতির চাবুক। কেউ বলেন এ যেন কাব্যিক প্রতিশোধ, কেউ বলেন নিছক অভিমান। তবে এই পোস্টের পর দর্শকদের একাংশের ব্যাখ্যা কিন্তু স্পষ্ট!


আরও পড়ুনঃ “মাঝরাতে ‘এআই’ চু’ম্বনের ছবি পাঠান…জানতে চান, আমি প্রেগ’ন্যান্ট কিনা!”— বি’স্ফোর’ক অভিযোগ দিতিপ্রিয়ার, জীতুকে নিয়ে ইঙ্গিতবাহী পোস্টে তোলপাড়! শুধু তাকেই নয়, আরও নায়িকাদেরও কু’প্রস্তাব দিয়েছেন জীতু! জীতুকে নিয়ে ক্ষুব্ধ দর্শক, দিতিপ্রিয়া শীঘ্রই বিদায় নিচ্ছেন ধারাবাহিক থেকে!

তাঁদের মতে, শতাব্দী যেন কায়দা করেই রাজ চক্রবর্তীকে তাঁর অতীতের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। আজ যেভাবে রাজের বর্তমান স্ত্রী শুভশ্রী তাঁর প্রাক্তন দেবের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিচ্ছেন, একসঙ্গে গানের তালে তাল মিলাচ্ছেন, হয়তো তাতে রাজের মনে কিছুটা হলেও খচখচ করছে। আর সেই অনুভবটাকেই যেন আগেভাগেই ভাষায় মুড়ে দিলেন শতাব্দী। সময় বদলে গেলেও অনুভূতির ভাষা বদলায় না—হয়তো সেই ব্যথা এখন রাজের কাছে নতুন করে ধরা দিচ্ছে, যেটা এক সময় শতাব্দী চুপচাপ সহ্য করেছিলেন।